ডেস্ক নিউজঃ
জীবনের সব হিসাব চুকিয়ে শেষ বারের মতো নিজের পছন্দের স্কটিশ বাসভবন বালমোরাল ক্যাসেল ছাড়লেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার নিথর দেহবাহী কফিন রোববার স্কটল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে বালামোরাল থেকে যাত্রা শুরু করেছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, বালমোরাল ক্যাসেল থেকে রানির কফিনবাহী গাড়ি ছয় ঘণ্টার যাত্রা শেষে স্কটিশ রাজধানী এডিনবার্গে পৌঁছাবে। সাতটি গাড়ির বহর রানির স্কটিশ বাসভবনের সদর দরজা ছেড়েছে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৭ মিনিটে।
এডিনবার্গের বালাটার গ্রামে যাবে রানিকে বহনকারী গাড়ি। এর মধ্য দিয়ে রানির চিরবিদায়ের যাত্রা শুরু হলো, যা আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মাধ্যমে শেষ হবে।
বিবিসি বলছে, শেষ বারের মতো রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে সড়কে সড়কে মানুষের বিশাল সমাবেশ দেখা গেছে। সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার জনতা হাতে ফুল নিয়ে অশ্রুশিক্ত নয়নে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন বলেছেন, রানি শেষ বারের মতো তার প্রিয় বালমোরাল ছেড়ে চলে গেলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক এক মুহূর্ত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আজ, তিনি এডিনবার্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন, স্কটল্যান্ড অনন্য একজন নারীকে শ্রদ্ধা জানাবে।’
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৭০ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটে গত বৃহস্পতিবার তার চিরবিদায়ের মাধ্যমে। এর পর থেকে তার মরদেহ রয়েছে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে। সেখান থেকে রানির মরদেহবাহী কফিন রোববার যাত্রা শুরু করেছে; যা আগামী মঙ্গলবার লন্ডনে পৌঁছাবে।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। সর্বসাধারণের সম্মান জানানোর জন্য সমাহিত করার ৪ দিন আগে থেকেই তার দেহ রাখা হবে ওয়েস্টমিনিস্টার হলে। পরে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে এলাকার সেইন্ট পল গির্জার পাশে সমাহিত করা হবে রানিকে।
মা রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস তার স্থলাভিষিক্ত হন বৃহস্পতিবারই। শনিবার ব্রিটেনের সেন্ট জেমসেস প্রাসাদে অ্যাকসেশন কাউন্সিল রানির উত্তরাধিকার ঘোষণা করে। এ সময় ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন রাজতন্ত্রের উত্তারাধিকারী উইলিয়াম। আর তা প্রত্যক্ষ করেন তার স্ত্রী ক্যামিলা এবং ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। সূত্র: বিবিসি, এএফপি।