মাহবুব আলম লাভলুঃ
আলহাজ্ব অ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপি বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাঁদের সম্মান করতে হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আপনাদের স্মৃতি আমলান হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন। বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনসহ বিভিন্ন সম্মাননা ও সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদেয় ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুজিব শতবর্ষে আজ তাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার মধ্যে দিয়ে সম্মানিত করা হচ্ছে। এ সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন ও সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করেছে। এ সব কাজ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় কারনেই সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আওরঙ্গজেবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মতলব উত্তর উপজেলা কমান্ডার মোজাম্মেল হক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করাতেই আজ আমরা তার সুফল ভোগ করতে পারছি। পাকিস্তানি আমলে ৯৫% সিভিল সার্ভিস নিতো তারা আর আমাদের বাঙালীদের দিতো মাত্র ৫%। এমন বৈষম্য থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি শুধু মুক্তিযুদ্ধ হওয়াতে। সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের জন্য ডাক দিয়েছেন আর বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে না যাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই উন্নত দেশ গঠনে আমরা দ্রুত সফল হতে পারব।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমি যতদিন এই জেলায় থাকব ততদিন সকল অফিসে বলা আছে মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ আগে করবেন। যাতে করে মুক্তিযোদ্ধাকে সেবা নিতে এসে বসে থাকতে না হয়, কোন ভোগান্তি না হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্নের জবাবে ডিসি কামরুল হাসান বলেন, সরকার প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও ডিজিটাল ডাটাবেইজ করছেন। যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারাই সকল সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নামে ঘর দিচ্ছে, পর্যায়েক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে, তা আরো কম ছিল, এখন বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি করবে সরকার।
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়েছে সম্মানিত করেছেন। আমাদেরকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড দিয়ে অনেক গর্বিত করেছেন। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে জীবিত ও মৃত মোট ৬৮২ জন মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়।