• বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন

ভোগান্তিতে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা

মতলব উত্তরের আউলিয়াবাগ দাখিল মাদ্রাসার বেহাল দশা

Lovelu / ২৩২ Time View
Update : সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২
Exif_JPEG_420

মাহবুব আলম লাভলুঃ

মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর সভায় আউলিয়াবাগ দাখিল মাদ্রাসার নানা সমস্যায় জর্জরিত। জরাজীর্ণ টিনসেড ঘর, শ্রেণিকক্ষের সমস্যা, আসবাবপত্রের অভাব,শিক্ষকের বেতন বকেয়া ও শিক্ষক সংকটের ফলে মাদ্রাসায় পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।ফলেভোগান্তিতে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।

২০০৭ সালে মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ঠাকুরচরে আউলিয়াবাগ দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত।আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে গ্রামীণ এ জনপদের দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়ানোর প্রয়াসে সাবেক সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও শিক্ষানুরাগী ইব্রাহীম খলিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সরেজমিনে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ টিনসেড ঘরে ১ম শ্রেণি থেকে দাখিল ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করছে। জরাজীর্ণ টিনসেড ঘরে চলছে শ্রেণির কার্যক্রম। শ্রেণি কক্ষে নেই দরজা- জানালা, পর্যাপ্ত চেয়ার -টেবিল ও বৈদুৎতিক পাখা। শিক্ষকদের বেতন বকেয়া কয়েক মাসের।

২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৫ বছর গত হলেও এখনও হয়নি এমপিওভূক্ত।সরকারি উন্নয়নের তেমন কোন ছোঁয়া লাগেনি এ মাদ্রাসায়। লেখাপড়া ও ফলাফলের দিক থেকে অনেক সাফল্য থাকলেও নানা সমস্যাকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলছে দ্বীনি শিক্ষার এ বিদ্যা প্রতিষ্ঠানটি। নানা সমস্যায় জর্জড়িত থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সুদৃষ্টি নেই মাদ্রাসাটির দিকে।

মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. মোশারফ হোসেন জানান, শ্রেণি কক্ষের অভাবে পাঠদান করানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ছে। ভবনসহ মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছি। একটি ভবন এসেছে। কিন্তু এখনও কাজ শুরু হয়নি। বেতন অপ্রতুল তাও আবার অনেক মাসের বাকী। এমপিওভূক্ত হবে এ আশায় বসে থেকে সার্টিফিকেটের বয়সও চলে গেছে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও দ্বীনি শিক্ষার এ মাদ্রাসার প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি বরাদ্দ তেমন পাওয়া যায়নি, যা পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি’র সু-দৃষ্টি কামনা করছি মাদ্রাসাটির উন্নয়নের জন্য।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম খান জানান, মাদ্রাসার পাকা ভবনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপির মাধ্যমে একটি ভবন বরাদ্দ এসেছে। পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যার সমাধান হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category