• মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
Headline
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি গঠন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন এ্যাড.অন্তরা সেলিমা হুদা শ্রীনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্টি দুর্যোগে সম্পদ নষ্ট ও জীবনহানির ঘটনা ঘটে…ইউএনও একি মিত্র চাকমা বিরামপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত আমরা কোন রকম ধর্মীয় গোঁড়ামি বরদাশ্ত করবো না… ড. মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন দুইদিন পর ভেসে উঠল মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগরে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে যখম মতলব উত্তরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বিএনপি নেতা ডা. শামীম সরকার সব ধর্মের মানুষ আমরা এক পরিবারের মত : তানভীর হুদা

বিনোদন কেন্দ্রটি শীঘ্রই উদ্বোধন

বিকেল হলেই রেললাইনে উপচে পড়া ভিড় দেখে মনে হয় পর্যটক কেন্দ্র

Lovelu / ২৭৫ Time View
Update : শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২

মো: আবু সাঈদ বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌর এলাকায় কোনো বিনোদন পার্ক ও অবসর সময় কাটানোর জায়গা না থাকায়। বিকাল হলে রেললাইনে বাড়ে মানুষের আড্ডা। মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে আসা মানুষের পদচারণায় মুখর রেললাইনে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, বিরামপুর শহরে কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। ১৯৯৫ সালে বিরামপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত ও প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও নাগরিক বিনোদনের কোনো জায়গা করা হয়নি। ফলে, শহরের ইট-পাথরের সান্নিধ্যে আবদ্ধ থেকে হাঁপিয়ে ওঠা লোকজন একটু মুক্ত বাতাসের জন্য বিকাল হলেই ছুটে যায় রেললাইনে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ লাইনের উপর হেঁটে বেড়িয়ে এবং গল্প-গুজব আড্ডায় অবসর সময় অতিবাহিত করেন।

আর এভাবেই ব্যস্ত থাকে বিরামপুর স্টেশন থেকে দক্ষিণ দিকে পলাবাড়ি রেলগেট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রেল লাইন। এই লাইন দিয়ে বিকালে ৬ থেকে ৮টি ট্রেন চলাচল করে থাকে। এ কারণে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

লাইনে ঘুরতে আসা পৌর শহরের চাঁদপুর মহল্লার শিক্ষার্থী মাহী কৈশোর বলেন, শহরের গুমোট পরিবেশ থেকে স্বস্তির আশায় সে মুক্ত বাতাসে অবসর সময় কাটানোর জন্য প্রায়ই এই রেললাইনে আসেন।

বিরামপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক জানান, বিরামপুর একটি প্রস্তাবিত জেলা শহর। এখানে দিনদিন মানুষের বসত বাড়িঘর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি পরিবারে ছোট বড় সকলের বিনোদনের জন্য একটু খোলা মেলা পরিবেশে চলাচলের জন্য স্থায়ী পার্ক প্রয়োজন আছে। তাই বিরামপুরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের উপর আবেদন বিনোদনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় পার্কের ব্যবস্থা করা হোক।

বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আক্কাস আলী জানান, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর বিগত দিনে পৌরসভা থেকে পার্ক নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। বর্তমানে পার্ক নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু জানান, মানুষের আনন্দ বিনোদনের জন্য তিনি নিজ অর্থায়নে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের সঙ্গে বিরামপুরের মির্জাপুর নামক স্থানে ৩৬ বিঘা জমির উপর একোয়া থিম পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করেছেন। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই বিনোদন কেন্দ্রটি শীঘ্রই উদ্বোধন করে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category