মো: ফেরদৌস জোর্য়াদ্দারঃ
প্রতি বছর শরতের সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করেন। এ বছরও ঝিনাইদহ জেলায় ৬টি উপজেলায় ৪৪৫টি পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গা পূজার মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগর ও শিল্পীরা। আর কয়েক দিন পর শুরু হবে প্রতিমায় রঙের কাজ। আগামী ১ অক্টোবর ৫দিনব্যাপী ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায় এবং ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও সরকারি কৌশুলি জি.পি অ্যাড. বিকাশ কুমার ঘোষ খবর ঝিনাইদহ কে জানান,শারদীয় দুর্গাৎসব আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর মহাদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পাশাপাশি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
ঝিনাইদহ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কনক কান্তি দাসের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর জেলা শহরসহ ৬টি উপজেলায় মোট ৪৪৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে কারিগর ও শিল্পীরা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ অনেকখানি এগিয়ে নিয়েছেন। ঝিনাইদহ পৌরসভা এলাকায় ২০টি মন্ডপসহ সদর উপজেলায় মোট ১০৫টি মন্ডপে,শৈলকুপায় ১২৭টি মন্ডপে, কালীগঞ্জ ৮৭টি মন্ডপে,কোটচাঁদপুরে ৪৬টি মন্ডপে,মহেশপুরে ৪৭টি মন্ডপে, হরিণাকুন্ডুতে ৩৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই লক্ষ্যে প্রশাসন এবং আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বিপিএম,পিপিএম (বার) জানান, পূজামন্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের মত এবারো পূজামন্ডপগুলোতে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও রয়েছে পুলিশের নিয়মিত টহল।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উত্তম গাংঙ্গুলি বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি পুজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।