ডেস্ক নিউজঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজ শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছেন এক কলেজ ছাত্র। তাদের বয়সের পার্থক্য ২৩ বছর। অসম প্রেম ও বিয়ের এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। তবে এ নবদম্পতিকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অনেকে।
আলোচিত ওই দম্পতি হচ্ছেন কলেজছাত্র মামুন এবং শিক্ষিকা খায়রুন নাহার। ফেসবুকে প্রেমের পর বিয়ে করেছেন দুজনে। এখন সংসারও করছেন সুখে।
তবে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ফেসবুকে। নানা কথা, গুঞ্জন চলছে এই বিয়ে নিয়ে। তবে সমাজের কথায় কান দিতে চান না এই দম্পতি। কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন বলেন, ‘সমাজে কে কি বলে, তা বড় বিষয় না। আমরা যদি দুজন ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক।’
শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার (৪৫) গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
গতবছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে মোঃ ফিরোজ আলম লিখেছেন, ‘‘এখানে হাসি তামাশার কিছু নেই, আলহামদুলিল্লাহ চারিদিকে যে পরিমাণ অবৈধ সম্পর্কের ছড়াছড়ি সেখানে দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে বিয়ে করেছে। স্ত্রী বয়সে ছোট হবে স্বামী বয়সে বড় হবে এটা কোন শর্ত নয়। সম্পর্কের প্রতি কতটা যত্নশীল সেটাই মূখ্য। তাদের সংসারজীবন সুখের হোক এই প্রত্যাশা।’’
আব্দুল ফরহাদ নামে একজন পাঠক লিখেছেন, ‘‘আমার তরফ থেকে আপনাদের জানাই ধন্যবাদ। আপনাদের জন্য থাকবে সব সময় শুভকামনা।সমাজ নেগেটিভ অথবা হাইস্য রসিকতা ভাবে নিলেও আমি পজেটিভ ভাবেই দেখছি। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন একে অপরকে স্বামী এবং স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছেন খারাপ বা অন্যায় কিছু তো করেন নাই।। আপনারা বিবাহের মতো পবিত্র বন্ধনে জরিয়েছেন আপনারা সঠিক পথেই হেঁটেছেন স্যালুট আপনাদের।’’
ইতিবাচক মন্তব্য করে মাসুদ রানা সাইফুল লিখেছেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ। বিয়েইত করেছে। অন্যায় কিছু করেনি। এই ঘুণে ধরা সমাজে কতজন অশ্লীলতায় লিপ্ত কিন্তু তারা সে পথে না হেঁটে বিয়ে করেছে। প্রত্যাশা করি তাদের বিবাহিত জীবন সুখের হোক।’’
আমিনুল হকের প্রশ্ন, ‘‘২২/২৩ বছরের একটি মেয়ে যদি ৬০ বছরে একজন পুরুষকে বিয়ে করতে পারে তাহলে একটি ছেলে কেন তার থেকে বেশী বয়সের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেনা? ওদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।’’