স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের দু’দুবারের সফল ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জননেতা এসএম মনির হোসেন’কে প্রফেশনাল কিলার দ্বারা মেরে ফেলার পরিকল্পনার অডিও ফাঁস হয়েছে এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতকারীদের।
নীল নকশাকারী অর্থাৎ ষড়যন্ত্রকারী তিনজনের আলাদা আলাদা অডিও ফাঁস হওয়ায়, গ্রেফতার হয়েছেন সেই তিনজন। তবে এর পিছনের গডফাদাররা এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর দাউদকান্দি মডেল থানার পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের খালিসা গ্রামের হাবিব উল্লাহর ছেলে জুয়েল (৫০), একই উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের শ্রীরায়েরচর গ্রামের গফুর মিজির ছেলে জামাল (৪০), পদুয়া ইউনিয়নের উজিয়ারা গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে নাছিরউদ্দিন (৬৮)। এ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই আসল পরিকল্পনাকারীদের অর্থাৎ গডফাদার দের নাম বেড়িয়ে আসবে বলে এলাকাবাসির দাবি।
জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মনির হোসেনকে মেরে ফেলার হুমকীদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার জনসাধারণ। গত কয়েক দিন এ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে এলাকাবাসি।
গত ১৪ ডিসেম্বর সরজমিনে গেলে অসংখ্য জনসাধারণ বলেন, এসএম মনির হোসেন চেয়ারম্যান তিনি একজন সৎ, সমাজসেবক ও খুবই ভালো মানুষ এবং একজন জনদরদী জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন, গরীব দুঃখী মানুষের পাশে ছিলেন। মনির হোসেন চেয়ারম্যান’কে দিয়েই এলাকার আরো উন্নয়ন সম্ভব। তিনি ছাড়া এলাকায় বিকল্প চেয়ারম্যান হলে এলাকায় উন্নয়নতো দূরের কথা, লুটপাট, হয়রানি ও বিচারের নামে প্রহসন চলবে। এলাকাবাসি আরও বলেন, চেয়ারম্যান মনির হোসেনের কিছু হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন জনসাধারণ। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন, গণ্যমান্য ব্যাক্তি হুমায়ুন কবির, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ রিয়েল সুমন, মোঃ আইয়ুব আলী, মুক্তার হোসেন, সফিকুল ইসলাম, মিলন সরকার, আবুল হোসেন, শাহ আলম, বিল্লাল মিয়া,অহিদ উল্লা, নাসিরউদ্দিন, রাজ্জাক বেপারী সহ অসংখ্য জণসাধারণ দোষী ব্যাক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, অত্যন্ত আবেগ ও কান্নাজড়িত কন্ঠে চেয়ারম্যান এসএম মনির হোসেন বলেন, তিনি প্রথমে প্রবাস ছেড়ে পরবর্তীতে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে এলাকার মানুষের জন্য জনসেবা করতে এসেছেন এবং জনগণের ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে স্বতন্ত্র থেকে পরপর দুইবারের জন্য বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন এলাকার কিছু সংখ্যক লোক বিশেষ করে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ও একটি কুচুক্রীমহল এখন আর তাদের সুবিধা না নিতে পারায় তার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে। শেষ পর্যন্ত তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ও নীল নকশা করেছে যা ইতিমধ্যে অডিও ফাঁসের মাধ্যমে ইউনিয়নের জনগণ থেকে শুরু করে প্রশাসন ও দেশবাসী জেনেছেন এবং এই ঘটনায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ ডিসেম্বর তিনজন আসামি গ্রেফতার হন। তবে আসল পরিকল্পনাকারী কারা তাদের খুঁজে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার শাস্তির দাবিও জানান তিনি। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় এমপি এবং কুমিল্লা জেলার এসপি, দাউদকান্দি মডেল থানার পুলিশ প্রশাসনকে তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং সেইসাথে এলাকার আইন শৃঙ্খলা সহর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার দাবি জানান।
এদিকে, চেয়ারম্যান মনির হোসেন জেলা পুলিশ সুপার ও দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ প্রশাসনকে তাদের সময়োচিত পদক্ষেপের জন্য বিশেষ করে অডিও ফাঁসের ৩ জন ব্যক্তিকে একই দিনে গ্রেপ্তার করায় তাদের সাধুবাদ জানান ও তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে তিনি এও বলেন দাউদকান্দি মডেল থানার পুলিশ প্রশাসনকে দিয়েই সম্ভব আসল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করা ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা।