মো: ফেরদৌস জোর্য়াদ্দারঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপার চর গোলকনগর গ্রামে দোকানে মোবাইল রাখাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এসময় ৩টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চর গোলকনগর গ্রামের গ্রামবাসির মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম।
আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, একই গ্রামের কোরবান আলী (৫৯), উম্বাত আলী (৫৫), মামুন হোসেন (১৬),ইউনুস আলী (৩৫), শিপন হোসেন, গফুর মোল্লা (৪৫), আব্দুল মজিদ (৫০), রহিম মোল্লা (৫৫), নজির মোল্লা (৫২) ও রাশেদ আলী (২৭), মধু মন্ডল, শখি, আজাদ ও আজিজুলসহ ১৫ জন।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল ওই গ্রামের ইউনুস মন্ডলের চায়ের দোকানে মোবাইল রেখে বাড়ি চলে যায় একই গ্রামের ইউসুফ মোল্লা। পরে মোবাইল নিতে এলে ইউনুস তা নিজের বলে দাবি করে। এ নিয়ে ওইদিন ইউনুস ও ইউসুফের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আজ সকালে একই ঘটনার জেরে গ্রাম্য মাতব্বর বাদশা মন্ডলের লোকজনের সঙ্গে আরেক মাতব্বর কুদ্দুস মোল্ল্যার সমর্থকের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন।
আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইউনুস মন্ডল, রাশেদ মন্ডল, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। একই ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে দুইদল গ্রাম বাসীর সংঘর্ষে আহত হন অন্তত আরও ১০ জন। সেসময়ও ১টি দোকান ও ২টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আবারো সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত আভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।