নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বড় হলদিয়া বোরহানুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গনে আশেকে রাসূল, মাসুকে এলাহী, পীরে কামেল, আল্লামা শাহ্ সূফী হযরত মুহাম্মদ ফরীদুদ্দীন আত্তার (রহ.) কেবলার ৩দিন ব্যাপী ১৭তম আজিমুশ্শ্বান ইছালে ছাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারী মাহফিল শুরু হয়ে ৫ জানুয়ারী পর্যন্ত চলে এ মাহফিল।
ছদরে জলছা আলহাজ্ব হাফেজ আল্লামা ওয়াহীদুদ্দীন মুহাম্মদ ইছাম। মাহফিলের সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন মো. ফখরুল ইসলাম সরকার।
শেষ দিন ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ওয়াজ করেন ওস্তাজুল উলামা শাইখুল হাদিস আলহাজ্ব মো. সিরাজউদ্দৌলা প্রধান মুহাদ্দিস আল ওয়েসিয়া কামিল মাদ্রাসা, আল্লামা খাজা মো. আরিফুর রহমান তাহেরি পীর সাহেব গাছতলা দরবার শরীফ, তরুন উদীয়মান আলেমে দ্বীন মুফতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম হেলালী প্রধান মুহাদ্দিস ধামতি আলিয়া মাদ্রাসা কুমিল্লা, মাওলানা মো. সোলাইমান ফকির প্রধান ফকিহ আল ওয়েসিয়া কামিল মাদ্রাসা, আন্তর্জাতিক ক্বারী মুহম্মদ জহিরুল ইসলাম ঢাকা, মুফতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ফরিদী খাদেম বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ফরিদপুর।
আলহাজ্ব হাফেজ আল্লামা ওয়াহীদুদ্দীন মুহাম্মদ ইছাম বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ হিসেবে বাংলার শহরে, গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় অবস্থিত মসজিদ, মাদরাসা কিংবা দ্বীনদরদী মুসলিম ভাইদের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন- বেশ পরিচিত একটি চিত্র। এমন দৃশ্য বিশ্বের অন্য কোনো মুসলিম দেশে সাধারণত দেখা যায় না।
আয়োজিত এসব ওয়াজ মাহফিলে প্রাজ্ঞ আলেম, পীর-মাশায়েখ ও বুজুর্গরা সাধারণ মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় নানা বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ সব ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং সারারাত জেগে, গভীর আগ্রহ সহকারে কোরআন-হাদিসের আলোচনা শোনেন।
পর্দার আড়ালের মা-বোনেরাও নিজ বাসা বাড়িতে বা আত্মীয়ের বাড়িতে এসে ওয়াজ শোনে থাকেন। বাংলাদেশের মানুষ যে ধর্মপ্রাণ- এসব ওয়াজ মাহফিলের উপস্থিতি দেখে তা অনুমান করা যায়।