** ঊষা মল্লিক **
ক্রিং ক্রিং ক্রিং শব্দ করে, বেজে উঠলো হাতের মুঠো ফোন,
চোখ খুলতে না খুলতেই, শুরু হলো সংসারের সাত কাহন।
ছেলের স্কুল, বরের অফিস, আরও যে কত রকমের কাহিনি
দুধওয়ালা,মাছ কাকু, সবজি দাদা, লাইন দিয়ে যে আসে তাদের বাহিনী।
রান্নার মাসির ছুটি আজ, তোলা কাজের দিদি ও আসবে না,
তা বলে রান্না বান্নার পদের কিছু কমতি কিন্তু হবে না।
ছেলের টিফিন দিয়ে শুরু হয়ে, শেষে যে হলো বরের সুক্তো,
অফিস বাড়ি সামলে উঠতে, হয়েছি আমি এখন বড় পোক্ত।
ঘর মোছা, বাসন ধোওয়া, আরও সব কিছুই তো আছে,
জানালার ভিতরেই জামা-কাপড় মেলি, বৃষ্টি যদি আসে পাছে।
বরের খাওয়ার বাসন ধুয়ে, সময় যে যায় ফুরিয়ে,
নিজের খাওয়া ফেলে দিয়ে, বাস ধরি যে দৌড়িয়ে।
অফিসে গিয়ে বকা খাবার রাস্তা যে আজ তৈরি,
হয়েছে আজ অফিস ঢুকতে, বড্ড বেশি দেরি।
সব সামলে টিফিন বাক্স, বেলা তিনটেয় খুলেছি,
খেতে গিয়ে শরীর যেন, চেয়ারে হেলিয়ে দিচ্ছি।
সব করে সন্ধ্যা সাতটায় বাড়ি ফিরে আসা,
তাড়াহুড়ো করে কাজ সেরে, ছেলেকে নিয়ে পড়াতে বসা।
তার মধ্যেই বরের হুঙ্কারে, ভয়ে অস্থির এই প্রাণ,
ভুলেই গেছি, একটা সময়ে, আমি শিখতাম বাংলা গান।
আবার প্রস্তুতি রাতের খাবারের, বানাতে হবে রুটি,
জীবন যেন চলছে এই ভাবে, নেই কোনো তাতে ছুটি।
বিছানা তৈরি, মশারি টাঙানো আরও কতরকম,
সংসার করার এই যেন ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম।
নারী পুরুষ সবাই সমান, নেই কোনো কাজের ভেদাভেদ,
মন্ত্রের মতো শোনায় এগুলো, রাস্তায় গড়াগড়ি খায় মহিলা আবেগ।