মাহবুব আলম লাভলুঃ
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) মো. জাকির হোসেন সিকদার বলেছেন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মেঘনা নদী বেষ্টিত ষাটনল একটি পর্যটক বান্ধব এলাকা। এটি নদী তীরবর্তী হওয়ায় এবং পাশে লঞ্চঘাট থাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যাবে। তিনি বলেন, এটিতো পর্যটনে রূপ পাওয়ার কথা আরো আগেই। কিন্তু গত ২১/২২ বছরে বিষয়গুলো নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করা হয়নি। দেখলাম চিঠি চালাচালি, জমির জন্য টাকা বরাদ্দসহ অনেকদূর এগিয়েছে আবার বেশ সময় ধরে থমকে গেলো।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরের ষাটনল এলাকা পর্যটক বান্ধব করার জন্য পর্যটন কর্পোরেশনের গৃহীত উদ্যোগের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ২০ আগস্ট শনিবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিকশিত হচ্ছে। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ, উন্নয়নবান্ধব কার্যক্রম ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বেসরকারি খাত উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি লাভ করেছে। বন্ধুবৎসল জনগণ, উষ্ণ আতিথেয়তা, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং নান্দনিক সব পুরাকীর্তি নিয়ে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
মহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন সিকদার বলেন, মনে হচ্ছে নানান প্রতিকূলতার কারণে ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রটি আলোর মুখ দেখেনি। ঈদগাহ, গনকবর বাদ দিয়ে এতো সুন্দর জায়গায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব। এখানে ৮ একর জমি রয়েছে। গনকবর ও ঈদগাহ জায়গা বাদ দিলে ৬ একর জমিতে পর্যটন কেন্দ্র করা অনায়াসে সম্ভব হবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমারা কাজ করছি এবং যতো শীগ্র সম্ভব, এটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করবো। আর এখানের মাননীয় সাংসদ নুরুল আমিন রুহুল সাহেবও যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় জনগণেরও আগ্রহ রয়েছে।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উপ-ব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) খাদিজা খানম, উপ-ব্যবস্থাপক (এস্টেট) মো. আব্দুর রহমান মিয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. আব্দুল আলম, বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাবর আলী খান, ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম সরকার, মতলব উত্তর উপজেলার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার মহিউদ্দিন পলাশ, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কামরান হোসেন’সহ ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান জানান, পর্যটন সংক্রান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ষাটনল এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে পর্যটক বান্ধব পরিবেশ তৈরির বিষয়ে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এ জন্য এলাকাবাসীর সার্বিক সহায়তা কামনা করেন তিনি।