• সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
Headline
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও বিদায় হলেও দেশ এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়ঃ অধ্যাপক ডাঃ সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম শ্রীনগর পাটাভোগ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মতলব উত্তর উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে দূর্গাপুর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে মতলব উত্তরে মইনীয়া যুব ফোরামের  মানববন্ধন  রুদ্র দারুল কোরআন মাদানিয়া মাদ্রাসার ভবনের নির্মাণ কাজ  চলছে ফুলছড়িতে গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা মতলব উত্তরে বাজার ও মৎস্য আড়দে অভিযানে জাটকা ইলিশ  জব্দ  নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে মতলবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ফুলছড়িতে খেলতে গিয়ে নদীতে পড়ে সিফাত নামে এক শিশু নিখোঁজ

হারিয়ে যাচ্ছে -৩

মতলব উত্তরে বিলুপ্তির পথে  টুল-পিঁড়িতে বসে চুল-দাড়ি কাটা

Lovelu / ২৩৩ Time View
Update : রবিবার, ২২ মে, ২০২২

শহিদুল ইসলাম খোকন :
বর্তমানে গ্রামের হাটবাজারগুলোতে রয়েছে এসি ও নন-এসি সেলুন। আছে পুরুষদের জন্য পারলারও। সেসব সেলুন ও পারলারে চুল ও দাড়ি কাটার জন্য রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও মেশিন। এসবই হয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়। কিন্তু এক যুগ আগে আধুনিকতার ছোঁয়া ছিল না। তখন খোলা আকাশের নিচে টুল পিড়িতে বসে চুল -দাড়ি কাটা হতো।কালক্রমে হারিয়ে যেতে বসেছে ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরদের চুল ও দাড়ি কাটার চিত্র। 
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্য অনেক পেশার মতোই নরসুন্দরের এই পেশা প্রায় বিলুপ্তির পথে। তারপরও কখনও কখনও গ্রামাঞ্চল ও চরাঞ্চলের হাটবাজারে চোখে পড়ে ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরের কর্মযজ্ঞ।
ভ্রাম্যমাণ এসব নরসুন্দর চুল কাটার বা ছাঁটার যন্ত্রপাতি নিয়ে বসেন গ্রামীণ ও চরাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে। হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা ক্রেতারাই নরসুন্দরদের ‘কাস্টমার’।
সরেজমিন মতলব উত্তর  উপজেলার চরা অন্চলে হাটের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, হাটের বিভিন্ন স্থানে বসে চুল ও দাড়ি কাটার কাজ করছে
  কাস্টমারদের পিঁড়ি বা টুলে বসিয়ে চুল ও দাড়ি কাটছেন।
নরসুন্দরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক যুগ ধরে এভাবেই দাড়ি ও চুল কাটছেন তারা। বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটে আসা মানুষজন তাদের কাস্টমার। তারা বিভিন্ন হাটবাজারে খোলা আকাশের নিচে বসে চুল ও দাড়ি কেটে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তারা চুল কাটতে ৩০-৪০ টাকা এবং শেভ বা দাড়ি ঠিক করতে ২৫-৩০ টাকা নেন।
চর এলাকা থেকে হাটে আসা রবিউল বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে হাটে এসে এই ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরদের কাছে চুল কাটাতাম। এখন সন্তানদের নিয়ে আসছি। সেলুনে চুল ও দাড়ি কাটাতে গেলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা লাগে। আর এদের কাছে মাত্র ৩০ থেকে ৫০ টাকায় চুল ও দাড়ি কাটানো যায়।
উপজেলার গজরা ইউনিয়নের রাজুর কান্দি গ্রামের  বাসিন্দা আবদুল জলিল  বলেন, আগে মানুষ ভ্রাম্যমাণ এই নরসুন্দরদের দিয়ে চুল-দাড়ি কাটানতো। তাদের কাছে অনেক কম টাকায় চুল-দাড়ি কাটানো যেতো। এখন আর তাদের দেখা যায়না। তবে কোন শিশু জন্ম নিলে সপ্তম দিনে ও সুন্নতে খতমার সপ্তম দিনে নরসুন্দরা বাড়িতে এসে ডুল পিড়িতে বসে চুল কাটার দৃশ্য চোখে পড়ে।
নরসুন্দর অরুণ বলেন, ‘এ পেশা আমার বাপ- দাদার ছিল। দাদাও বাবার মৃত্যুর পর আমি  এ পেশায় আছি। হাটে চুল ও দাড়ি কেটে যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে ব্যাবসায়ী নূরে আলম নূরী বলেন, যারা এক সময় আমার বাপ-দাদাদের চুল ও দাড়ি কেটেছেন তারা মারা গেছেন। তাদের সন্তানরা এখন বেশিরভাগই শহরমুখী। কেউ জীবিকার সন্ধানে আবার কেউ কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য শহরে পাড়ি জমিয়েছেন। তাই বিলুপ্তির পথে এ পেশা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category