ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলা গানের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ফোন পাওয়ার পরই এই পুরস্কার প্রত্যাখানের কথা জানান ৯০ বছর বয়সী প্রবীণ এই শিল্পী। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপ্তদের একটি তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নামও রয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর শিল্পীর লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে ফোন আসে দিল্লি থেকে। ফোনে তাকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। কিন্তু শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় পুরস্কারটি তার জন্য ‘অসম্মানজনক’ উল্লেখ করে ফোনেই পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যানের কথা জানান।
বাংলা সিনেমার অন্যতম সেরা প্লে ব্যাক সিঙ্গার সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আধুনিক, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতসহ অনেক গানের জন্য কিংবদন্তি হয়ে আছেন। বাংলা গানের আরেক কিংবদন্তি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার দ্বৈত গান আজও শ্রোতাদের কাছে যথেষ্ঠ জনপ্রিয়।
সন্ধ্যার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, দিল্লি থেকে একজন কর্মকর্তা বিকেলে শিল্পীকে ফোন করেছিলেন। সন্ধ্যা তাকে বলেছিলেন পদ্মশ্রী এমন কোনও পুরস্কার নয় যে তার মতো একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে তা দেওয়া উচিত। এটা গ্রহণ করা তার জন্য অপমানজনক হবে।
১৯৩১ সালে জন্ম নেওয়া সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রথমবারের মতো ১৯৪৮ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র ‘অঞ্জন গড়’ এ কণ্ঠ দেন। এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রাই চাঁদ বড়াল। তিনি এস ডি বর্মণ, রোশান এবং মদন মোহনের মতো বিখ্যাত সুরকারদের নির্দেশনায় গান গেয়েছেন।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘বঙ্গভূষণ’ এবং ১৯৭০ সালে ‘জয় জয়ন্তী’ (সাউন্ড অফ মিউজিকের বাংলা রিমেক) এবং ‘নিশি পদ্মা’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা নারী প্লেব্যাক গায়িকার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়াও সংগীত প্রতিযোগিতায় তিনি ‘গীতশ্রী’ পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপর থেকেই তার নামের সঙ্গে ‘গীতশ্রী’ শব্দটি জুড়ে যায়।