ডেস্ক নিউজঃ
সবাই মিলে কাজ করলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।নারীদের অবহেলিত রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদের অবহেলিত রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। সমাজে প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির জন্য ভাতা দেয়া হচ্ছে।এসময় তিনি সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সমালোচনাকারীদের নিয়েও কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই পারমাণবিক বিদ্যুতের সমালোচনা করেন। কিন্তু এগুলো যে মানুষের কাজে লাগবে সেটা তারা বিবেচনা করেন না। নদীমাতৃক বাংলাদেশের তৃণমূলের মানুষ এতে উপকৃত হবেন। ঢাকা শহরে বসে না থেকে গ্রামে গিয়ে দেখুন। টিভিতে টকশো করছেন আর বলেন যে, কথা বলতে দেয়া হয় না। কিন্তু কারও মুখ তো চেপে ধরা হয়নি। গ্রামে যান, খেটে খাওয়া মানুষদের দেখুন। কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে।’
নির্দিষ্ট সময়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করা কঠিন- এমন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তবুও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে তা সম্ভব। অর্জনগুলোকে ধরে রেখে আগামীতে যা বাস্তবায়ন করতে চাই তার পরিকল্পনা করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এক ইঞ্চি জায়গা খালি রাখা যাবে না। পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ব্যবহারের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ, কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। সামনে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অপচয় কমিয়ে আনতে হবে।’
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৯৮১ সালে জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশে ফিরে আসি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। তখন গণতন্ত্র ছিল না। সামরিক স্বৈরাচাররা দেশ চালাতো। আমরা এখন সামাজিক নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করছি। এমনভাবে সহযোগিতা করছি যাতে মানুষ কর্মবিমুখ না হয়।