মো. ফিরোজ উদ্দিন, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা নকলা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সংসদ,নকলা উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করে। পরে একটি শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন হতে শুরু করে মধ্য বাজার হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদিক্ষিন করে আগের জায়গায় এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সংসদ, নকলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বুলবুল আহম্মেদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ।
এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন,উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুনছুর আলী, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় সকল ইউনিয়ন থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানগণ,আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
৯ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নকলা উপজেলা। ১৯২২ সালের নভেম্বর মাসের ১২ তারিখে নকলা নামকরণ করা হয়। নকলার নামকরণের জন্য অনেক রক্ত ও জীবনও দিতে হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার হানাদার মুক্ত হয়। তখন থেকেই সেই দিনটাকে নকলা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে আসছে নকলা উপজেলাবাসী। ১৯৭১ সালের এই দিনে ১১৭ জন সশস্ত্র রাজাকারের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়েছিল নকলা উপজেলা। উপজেলার ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পলাশকান্দি গ্রামে ১৯৭১ এর ৯ ডিসেম্বর ১১৭ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। অস্ত্রসহ রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করার পর নকলা উপজেলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এসময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন, ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহের, ল্যাফটেন্যান্ট কামাল, কোম্পানি কমান্ডার আব্দুর হক চৌধুরী, ইপিয়ারের নায়েক ফরহাদসহ মুক্তিবাহিনী,ও মুক্তিকামী হাজারো জনতা। এসময় নকলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।