• বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
Headline
মতলব উত্তরে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম উদ্বোধন  সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কাজে অংশ নিলে ক্যারিয়ারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেঃ ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি দুগ্ধ খামারীদের নিয়ে ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ছেংগারচর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মান্নান লস্করের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ মতলবে  ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার  শ্রীনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে বোরো ধানের রোপণের কাজ চলছে মাদক. যৌতুক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে– সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ  মতলব উত্তরে তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন  মতলবে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা।।  সাবেক স্বামী আটক তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

হারিয়ে যাচ্ছে কাঁদা পানিতে মাছ ধরার উৎসব

Lovelu / ১০৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৩

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

এক সময় গ্রাম বাংলায় বর্ষা শেষে নিচু জমি, খাল-বিলে পানি সেচে মাছ ধরা হতো। মাছ ধরার চিরায়ত সে দৃশ্য সচরাচর এখন আর তেমন চোখে পড়েনা।

আশ্বিন- কার্তিক মাসের শেষের দিকে নদ-নদী,খালবিলের পানি কমে যাবার সাথে সাথে শুকিয়ে যেতে থাকে ডুবে থাকা খেতখোলা। পানি শুকিয়ে গেলেও এসব স্থানে আটকা পড়ে নানা দেশীয় মাছ। আর সে সময় কাঁদা পানিতে নেমে হাত দিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠে গ্রামের মানুষ।

রোদ মাখা কাদা পানিতে মাছ ধরা গ্রাম বাংলার অন্যতম বিনোদনও বটে। শত শত বছর ধরে এ ধারা চলে আসছে, যা আজও বহমান।

শুধু সলঙ্গা থানা নয়,সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক একটি বিলেরর নাম বোয়ালিয়া বিল। যা ঐতিহাসিক বোয়ালিয়া বিল নামে পরিচিত। কালের বিবর্তনে বোয়ালিয়া বিল এখন সকলের কাছে অনেকটাই অপরিচিত হয়ে আসছে। তারপরও বর্ষা মৌসুমের পানিতে টুই টম্বুর হয়ে উঠে এ বিল।পানি কমার সাথে সাথে বিলের নিচু নালে দেশি জাতের নানা মাছের আগমন ঘটে।

শুরু হয়, থালা-বাটি,সেওতি দিয়ে  পানি সেচার কাজ। এরপর চলে মাছ ধরার উৎসব। রীতিমতো আনন্দ উল্লাস করে লোকজন সেই বিলের শূন্য পানির কাদার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে তুলে আনে একের পর এক দেশীয় প্রজাতির মাছ।
কাদায় মাছ ধরার এমনই এক উৎসবের দেখা মিলল বোয়ালিয়া বিলের এক অংশে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর বর্ষাকাল শেষ হলে পানি কমে গেলে এই এলাকার বিল ও নিচু জমিগুলোতে এমন মাছ ধরার উৎসব চলে। সেই উৎসবে মাছ ধরায় মেতে উঠে নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো সবাই। কাদা পানিতে নেমে কে কতো বেশি মাছ ধরতে পারে, এই নিয়ে চলে প্রতিযোগীতা।

আক্ষেপ করে একজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, ‘খালবিল থেকে দিন শেষে মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরার দৃশ্য এখন তেমন চোখে পড়েনা। আবার পাঁচ মিশালী মাছের রান্নার ঘ্রাণও এ মৌসুমে এখন আর আগের মতো ছড়িয়ে পড়ে না গ্রামের বাড়ি বাড়ি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category