মো: আবু সাঈদ, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
কয়েকটি হ্যাঙ্গারে ঝুলছে কিছু পুরনো ও আধা পুরনো শীতের কাপড়। এক পক্ষ সেখানে তাঁদের অব্যবহৃত শীতের কাপড় রেখে যাচ্ছেন, অন্য এক পক্ষ সেগুলো নিয়ে হাড় কাঁপানো শীতে তাঁদের প্রয়োজন মেটাচ্ছেন।
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন হাটবাজারের দেয়ালে লেখা মানবতার দেয়াল তার নিচেই দেখা যায় কাপড়। আর কাপড় সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়ানোর এই মহান কর্মযজ্ঞের নাম দেয়া হয়েছে ‘মানবতার দেয়াল’। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন অসংখ্য দেয়াল এখন শোভা পাচ্ছে।
বিরামপুরে মানবতার দেয়ালের একজন উদ্যোক্তা বলেন, বাসায় বড় ও ছোটদের অব্যহৃত অনেক শীতের কাপড় পড়ে থাকে। সেসব যদি অসহায় ও অস্বচ্ছল লোকদের কাজে লাগে তাতে তো বিষয়টি ইতিবাচক। এছাড়াও দেখাদেখি সমাজের বিত্তবানরাও যদি এই উদ্যোগে এগিয়ে আসে তাহলে নিম্মবিত্তদের বড় একটি অংশ উপকৃত হবে।
হতদরিদ্র রিক্সাচালক মোস্তফা বলেন, যারাই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিষয়টি প্রশংসনীয়। এই উদ্যোগ আরো বেশি স্থানে ছড়িয়ে দিতে পারলে অনেক বেশি মানুষ উপকৃত হবে।
বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মো. আক্কাস আলী বলেন, উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয় ও ভালো। এ কাজে আমাদের সাধ্য মতো সবাই অংশ নিলে ছিন্নমূল, অসহায় ও হতদরিদ্রসহ অনেকেই উপকৃত হবেন। তিনি আরো জানান, আমি আমার পৌরসভা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাধ্যমতো অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে বেশকিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি।
বিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন, “মনবতার দেয়াল” তৈরি একটি মহতি, প্রশংসনীয় ও ভালো উদ্যোগটি। এ মহতি কাজে যার যা সাধ্যমতো আমাদের সকলেই অংশ নিলে ছিন্নমূল, অসহায়, হতদরিদ্র ও শীতার্তসহ অনেকেই উপকৃত হবেন। তিনি আরো বলেন, দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সারাদেশে শীতার্ত মানুষের জন্য প্রচুর শীতের কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত শীতবস্ত্র ও আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে ও পৌরসভায় অনেক শীতবস্ত্র উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করেছি। শীতের কাপড়ের অভাবে কেউ কষ্ট পাবে না। যদি কেউ শীতের কাপড় না পেয়ে থাকেন। কিংবা কারো শীতের কাপড়ের প্রয়োজন হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তিনি শীতের কাপড় পেয়ে যাবেন।