হাইমচর(চাঁদপুর)প্রতিনিধিঃ
হাইমচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচার হামলায় ভাতিজা গুরুতর আহত হয়েছে। গত ১৮ জুলাই সোমবার আলগী দূর্গাপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পূর্বচরকৃষ্ণপুর গ্রামে মৃত রশিদ বেপারীর ছেলে চাচা নুর মোহাম্মদ এর হামলায় ভাতিজা শাহেদ হোসেন মিঠু (২৬) গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত শাহেদ হোসেন মিঠু চাঁদপুর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাজায়, শাহেদ হোসেন মিঠুর বাবা আলী আহমেদ বেপারী ও তার চাচা নূর মোহাম্মদ(৪০) এর সাথে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিরসনে একাধিকবার শালিস দরবার হলেও চাচা নুর মোহাম্মদ দরবার শালিসির রায় মান্য না করে তিনি হাইমচর থানায় আলী আহমেদ বেপারী ও তার স্ত্রী সন্তানদের আসামী করে মামলা করেন। ঐ মামলায় ১ নং আসামী আলী আহমেদ বেপারী জেল হাজতে থাকায় তার ছেলে শাহেদ হোসেন মিঠু ও তার পরিবারের লোকজন অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করেন। সেই সুযোগে গত ১৮ জুলাই নূর মোহাম্মদ ও তার ছলে এবং মেয়েদের নিয়ে পূর্ব পরিকল্পীত ভাবে ভাতিজা শাহেদ হোসেন মিঠুকে ডেকে নিয়ে ধারালো দা, ছেনী, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। শাহেদ হোসেন মিঠুর চিৎকারে আশে পাশের লোকজক এগিয়ে এসে তাকে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজা গত ২০ জুলাই চাঁদপুর কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
আহত শাহেদ হোসেন মিঠু জানান, আমার বাবা ও চাচাদের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েকবার দরবার হলেও আমার চাচা নূর মোহাম্মদ কোন ভাবেই দরবার শালিসি না মেনে আমার বাবার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়। আমাকে আমার বাবার অনুপস্থিতিতে আমার উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। আমার হাতে ও মাথায় এখনো সিলাই রয়েছে। এ ঘটনায় আমি চাঁদপুর আদালতে চাচাকে আসামী করে মামলা দিলে তারা সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার ও আমার বাবার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বর্তমানে খুবই অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছি। আমার চাচা আমাদেরকে বর্তমানে অনেক ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার পরিসমাপ্তি চাই।
ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল জলিল মাস্টার জানান, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে একাধিকবার দরবার শালিসি করেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি। তারা উভয় পক্ষ মামলায় মোকাদ্দামায় গিয়েছে। তারা উভয় পক্ষ মিমাংসা চাইলে আমরা তা সমাধান করার চেষ্টা করবো।