মোঃ জামাল উদ্দিনঃ
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষিত আসনে ফের নির্বাচিত হলেন তামান্না আকতার হেনা।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ৪নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে বিজয়ী হওয়ার পরে তামান্না আক্তার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি, সম্মানিত জনপ্রতিনিধিদের ধারে ধারে ঘুরেছি, সবার কাছে গিয়েছি, সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছে।
আশ্বাস ও ভরসা দিয়েছে, তাই শেষ পর্যন্ত আমার পরিশ্রম ও তাদের বিশ্বাসের জয় হয়েছে, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
তিনি কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার অনেক পরিচিত-অপরিচিত নাম জানা, না অজানা অনেকে নিঃস্বার্থভাবে আমার নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছেন।
অনেকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি, আমিও ব্যস্ততার কারণে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।
তবুও তারা থেমে থাকেননি, তাদের নিজ উদ্যোগে আমার জন্য সম্মানিত ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন।
তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ, তাদের ঋণ শোধ করার মতো নয়, তাদের দোয়া ও সহযোগিতায় আমি দ্বিতীয়বারের মতো সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হতে পেরেছি।
এমনকি আমার বাবার অনেক বন্ধু জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তারাও আমার সাথে আমার ভোটারদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে আমাকে বিজয়ী করতে ভোট প্রার্থনা করেছেন।
হেনা বলেন, আমি যেখানে ভোট চাইতে গেছি, সেখানে বলেছি আমি ১৭ পরগনার ফুড়ি(মেয়ে) তারাও আমাকে মূল্যায়ন করেছেন।
জৈন্তা সেন্টারে গিয়ে আমি বুঝেছি যেন, আমি জৈন্তার মেয়ে তারা আমাকে সেভাবেই দেখেছেন, তাদের মূল্যায়নের কাছে আমি ঋণি।
কোম্পানীগঞ্জ সেন্টারে গিয়ে বুঝতে পেরেছি আমি তাদের বউ তারাও আমাকে সেইভাবে রেখেছেন।
সকলের মতামতের মূল্যায়ন করে সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে অতীতের মতো কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর উপজেলা এবং সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়ন, কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ও লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত সিলেট জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ৪নং ওয়ার্ড।
ফলাফলঃ কোম্পানীগঞ্জে ৮৮, জৈন্তাপুরে ৫৪ ও গোয়াইনঘাটে ৪৪টি সহ মোট ১৮৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪নং ওয়ার্ডে তিনি বিজয়ী হয়েছেন।