আব্দুল মান্নান সিদ্দিকীঃ
আর মাত্র আট দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। তৈরি পোশাকের দাম বেশি হলেও উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা কেহই ঘরে বসে নেই। যার যতটুকু সাধ্য আছে তার মধ্যেই সন্তানদের পোশাক ক্রয় মহাব্যস্ত।
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে বেশিরভাগ পুরুষই প্রবাস জীবন যাপন করেন তাই সন্তানদের চাহিদা মিটাতে মূল ভূমিকা পালন করেন তাদের স্ত্রীরা। তাইতো হাট বাজার মার্কেট সর্বক্ষেত্রেই নারীদের পদচারনা।
শ্রীনগর এম রহমান মার্কেটে তানজিল নামক এক ক্রেতা এ প্রতিনিধিকে জানান তার সন্তানের জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে শপিং করেছন। যা নিয়ন্ত্রণ এর মধ্যেই বলে তিনি মনে করেন।
শ্রীনগর জমজম মার্কেটে কথা হলে শিউলী জানান, তাঁর দুই সন্তানের জন্য ঈদের পোশাক কিনেছেন ৮ হাজার টাকায়। যা তার সাধ্যের মধ্যেই বলে তিনি মনে করেন।
ভাগ্যকুল আলম প্লাজা শপিং করলেন মাহফুজা বেগম। তিনি জানান তার সন্তানের জন্য ছয় হাজার টাকা দিয়ে পোশাক কিনেছেন, এতেই তারা মহা খুশি।
ভাগ্যকুল আলম প্লাজার আল-মদিনা স্টোরের স্বত্বাধিকারী নিজাম খান জানান গত দু’বছর করোনার কারণে বেচাকেনা না থাকলেও এবছর তুলনামূলক ভালো।
শ্রীনগর চকবাজার ফুটপাতের একজন বিক্রেতা জানান এবার বিক্রয় ভালো। ফুটপাতে ক্রেতা মহিলা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, অল্প পয়সায় সন্তানদের জন্য ভালো পোশাক কিনতে পেরে আনন্দিত।
বাঘরা বাজার মৌসুমী স্টোরে স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালেক এ প্রতিনিধিকে জানান,তার দোকানে কম দামে ভালো পোশাক পাওয়া যায়। এই কথার সত্যতা পাওয়া গেল একজন মহিলা মাত্র ৫শত টাকায় থ্রি পিস কিনে নিলেন।
এছাড়াও রয়েছে কসমেটিক ও জুতার দোকানে ভিড়।আল আমিন বাজার ভাই ভাই কসমেটিক দোকানের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন জানান, গতবারের তুলনায় এবার বেচাকেনা খুবই ভালো।
জুতার দোকানদার আলী আক্কাস জানান, বেচাকিনা ভালো।
জমে উঠেছে সেমাই চিনির বাজার আত্মীয়-স্বজনদের আমন্ত্রণে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতা।
ঈদ উপলক্ষে মুরগির বাজারে চড়া। কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।
দুদিন পূর্বে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলেও বর্তমানে অনুকূল। তাই ক্রেতা-বিক্রেতা সন্তুষ্ট। এবার সকলে আনন্দ উল্লাস নিয়ে ঈদ করতে পারবেন বলে সকলে আশাবাদী।