• বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
Headline
মতলব উত্তরে অবৈধ ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ১ জন নিহত মতলবে সৌদি মালিককে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে এলেন প্রবাসী মোবারক চাঁদপুরের বিপণীবাগের আবাসিক হোটেল থেকে মতলবের রুবেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বাণিজ্য মেলায় সাংবাদিকের উপর হামলা : আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ায় ক্ষোভ শ্রীনগরে মাদিনাতুল উলুম মডেল মাদ্রাসারবার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মোস্তফা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরের পাচঁআনি উবি’র বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা  পুরস্কার বিতরণ মতলবের মেঘনায় মরা মাছ ভেসে ওঠার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন মতলব উত্তরের আনন্দ বাজারে নিউ পপুলার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের  উদ্বোধন শ্রীনগরে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত 

রান্ধুনীমূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষা নেয়নি প্রধান শিক্ষক!

Lovelu / ১৬৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

খন্দকার আরিফঃ

বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রুটিন ওয়ারী পরীক্ষায় শুরু হলেও হাজীগঞ্জের রান্ধুনীমূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরীক্ষায় নেয়নি বলে জানা গেছে। বিদ্যালয় প্রধানের একক সিদ্ধান্তে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জুন) এর পরীক্ষার ১৬ জুন নেওয়ার ধার্যদিন নির্ধারণ করেছেন প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম।

জানা গেছে, ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ ম শ্রেনীর পরীক্ষায় নেওয়ার বৃহস্পতিবার দিন তারিখ ছিলো। পরীক্ষা অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের পূর্ব প্রস্তুতি নিতে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে রুটিন দেন শ্রেনী শিক্ষকরা। কিন্ত প্রধান শিক্ষকের কৌশলের কাছে হেরে গেলো শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। কোন ধরনের ঘোষনা না দিয়েই পরীক্ষা স্থগিত করেছেন প্রধান শিক্ষক, এমনটি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা। বিদ্যালয় প্রধানের একক সিদ্ধান্তে বিদ্যালয় এসে বাড়ি ফিরে গেলো পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি না করে প্রধান আবুল কাশেম কুমিল্লা থেকে কেজি ধরে প্রশ্নপত্র ক্রয় করেন বলে বিশ্বস্ত একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। ফলে বৃহস্পতিবার অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষা না নেওয়াই এর কারন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টায় সরেজমিনে দেখা মিললো বিদ্যালয়টি বন্ধ রয়েছে। কোন শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে বারংবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিশ্চিত) মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আজকে (বৃহস্পতিবার) ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণির পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্ত তা কেন হয়নি তা আমি অবহিত নয়। আজকের (বৃহস্পতিবার ২ জুন)’র পরীক্ষায় কবে নেওয়া হবে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগামী ১৬ জুন নির্ধারণ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এরপরও প্রধানের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভও করেননি বা কল ব্যাকও করেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি এমনটি কেন করেছেন আমরা তা দেখবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু সারা বাংলাদেশে একযোগে অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষা শুরু হয়েছে সেক্ষেত্রে উনার উচিত ছিলো আজকের (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষাটি নেওয়ার। তিনি কেন পরীক্ষায় নেননি উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে আমার দপ্তরে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা না মেনে কেন পরীক্ষায় নেননি প্রধান শিক্ষক, এজন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন তার থেকে পরে আপডেট জানবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category