আব্দুল মান্নান সিদ্দিকীঃ
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন বাজার,মার্কেটের সম্মুখে, রাস্তাঘাটে,ফুটপাতে, খোলামেলা নোংরা আবর্জনা পরিবেশ বিক্রি হচ্ছে শাহী নাস্তানামে হালুয়া-রুটি। এসব নাস্তা ক্রয় করছেন বিভিন্ন পেশার ব্যস্ত শ্রম জীবি মানুষ।যারা সকালে বাড়ি হতে কর্মস্থলে চলে আসেন সকালের নাস্তা না খেয়ে ।
১৭অক্টোবর সকাল ৮টায় ঢাকা দোহার সড়কে শাহী নাস্তা বিক্রি করছিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর গ্রামের শাহী নাস্তা বিক্রেতা মনির এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিদিনখুব ভোরে তিনি শাহী নাস্তা রুটি-হালুয়া নিয়ে বের হন। সকাল ৯টার মধ্যেই তা বিক্রি হয়ে যায়। প্রতি কেজি রুটি-হালুয়া বিক্রি করেন ৮০টাকা দরে।তার বেশিরভাগ ক্রেতারা হচ্ছে রাস্তায় ফুটপাতে কর্মরত রিক্সা চালক, শ্রমজীবী মানুষ ও ফুটপাতের দোকানদার। তিনি প্রতিদিন যা বিক্রয় করেন তা থেকে,প্রায় পাঁচশত আয় হয় তা দিয়ে চলে তার সংসার।
খোলামেলা নোংরা পরিবেশে, নোংরা ও ধুলাবালি যুক্ত দৈনিক পত্রিকা গুলোতে পেচিয়ে এসব শাহী নাস্তা বিক্রি করাহচ্ছে।কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত মনিরকে এরকম প্রশ্ন করা হলেতিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
রিকশাচালক মানিক শাহী নাস্তাক্রয় করছিলেন তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোরে নাস্তা না খেয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন। তাই বাধ্য হয়েই তাকে এনাস্তা খেতে হচ্ছে। হোটেলে খেতে গেলে বেশি টাকার প্রয়োজন হয়। এখানে অল্প টাকাতে নাস্তা পাওয়া যায়।
এ নাস্তা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত এ ব্যাপারের জানতে চাইলে ডাক্তার মাহবুব এ প্রতিনিধিকে জানান, রাস্তাঘাটে,ফুটপাতে, খোলামেলা নোংরা পরিবেশে,এসব নাস্তা খেলে পাতলা পায়খানা, ডায়রিয়া, আমশয়ও জন্ডিসের মত রোগ হতে পারে,তাই এইসব খাবার পরিহার করা সর্বোত্তম।