• বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১১ অপরাহ্ন
Headline
মতলব উত্তরে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম উদ্বোধন  সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কাজে অংশ নিলে ক্যারিয়ারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেঃ ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি দুগ্ধ খামারীদের নিয়ে ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ছেংগারচর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মান্নান লস্করের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ মতলবে  ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার  শ্রীনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে বোরো ধানের রোপণের কাজ চলছে মাদক. যৌতুক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে– সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ  মতলব উত্তরে তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন  মতলবে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা।।  সাবেক স্বামী আটক তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

হারিয়ে যাচ্ছে -২

মতলব উত্তরে হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ

Lovelu / ১৭১ Time View
Update : শনিবার, ২১ মে, ২০২২

শহিদুল ইসলাম খোকন :

সুস্বাদু একটি ফসলের নাম কাউন। মানুষজন কাউন চাল রান্না করে খায়, হরেক রকমের পিঠা ,খীর, পায়েস , খিচুরিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি হতো কাউন থেকে। কিন্তু চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বিলুপ্তির পথে কাউজ চাষ। এক সময় এ উপজেলার গ্রামেগঞ্জে ব্যাপক চাষ হলেও বর্তমানে কাউন চাষে কৃষকের আগ্রহ না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন চাষ।

জানা গেছে, স্বল্প খরচ, সহজ চাষ পদ্ধতি ও পানি সাশ্রয়ী হওয়ার সত্যেও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই ফসলটি আজ বিলুপ্তির পথে। ফসলটি যেন কালের গর্ভে বিলীন হতে চলেছে।

আরও জানা গেছে, ফসলটির শুকনো জমিতে ঝুরঝুরে চাষের পর চৈত্র মাসে বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয়। জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে ফসল ঘরে ওঠে। এতে কোনও সেচের প্রয়োজন হয় না। ফলন হয় বিঘাপ্রতি ৮-১০ মণ। কাউনের শীষ ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়ার পর বাকি গাছের অংশ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য আবাদের মতোই কাউন সহযোগী ফসল হিসেবে কৃষকের আর্থিক যোগান দিতো।

উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কৃষক শাহ আলম বলেন, ‘আমাদের এই গ্রামে সবাই মরিচ, আলু, সাকসবজির ফাকে কাউন চাষ করতো। সেই কাউন বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাতাম। এখন ফলন কম হওয়ায় আমরা কাউন চাষ আর করি না।’

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশী জাতের এ ফসলটিকে আমাদের স্বার্থেই সংরক্ষণ করা উচিত। তা না হলে পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারবে না কাউন নামটি। কাউন নামের এ ফসলটি যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায় এ জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, কাউন এখন অভিজাত ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাছাড়া ফলন কম হওয়ায় কৃষকেরা কাউন চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category