শহিদুল ইসলাম খোকনঃ
মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া কমপ্লেক্সের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হতে না পাওয়ায় নব গঠিত সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান বেপারির বড় ভাই শাহআলমকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ। মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
৫ জুন রবিবার বিকেলে উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসীর জানায়, সাতবাড়িয়া, নন্দলালপুর ও সুজানগরের কিছু অংশ নিয়ে সাতবাড়িয়া কমপ্লেক্সের। এই কমপ্লেক্সে মধ্যে রয়েছে বায়তুল আমান জামে মসজিদ, ঈদ গা, নন্দলালপুর সাতবাড়িয়া আঞ্চলিক কবরস্থান ও নন্দলালপুর সাতবাড়িয়া গাউছিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা।
এই কমপ্লেক্সেের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য ৪ জুন শনিবার বিকেলে এলাকাবাসী সাধারণ সভার আয়োজন করে। এতে প্রায় ৪ শতাদিক লোকজন উপস্থিত ছিল। পরে সকলের সম্মতিক্রমে মাহবুবুর রহমান শানন্তি সরকারকে সভাপতি করা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী ছিল। এরা হলেন গোলাম মোস্তফা এবং শাহজাহান বেপারি । কন্ঠ ভোটে গোলাম মোস্তফা ৪ ভোট পায়। আর বাকী প্রায় ৪’শ ভোট পেয়ে মো. শাহজাহান বেপারি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে।
কিন্তু গোলাম মোস্তফা এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে না পারায় হট্টগোল বাদায়। এতে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
পরের ৫ জুন রবিবার বিকেলে নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান বেপারির বড় ভাই শাহআলম নন্দলালপুর বাজারের যাওয়ার পথে একা পেয়ে পদ না পাওয়া মোস্তফা সরকার ও তার ভাই মিজান সরকারসহ আরো কয়েক জন মিলে শাহআলমকে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এতে শাহআলম আহত হয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে। সন্ধ্যায় সাতবাড়িয়া কমপ্লেক্সের সামনে অভিযুক্ত মোস্তফা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বিক্ষোভ শেষে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়েজ আহমেদ বলেন, প্রায় ৩ জন বছর আগে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর সর্মথনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। জনগন যাকে চেয়েছে সেই নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিপক্ষ নির্বাচিত হতে না পারায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান বেপারি বলেন, মৃত আব্দুল গনির ছেলে মোস্তফা সরকার আমার সাথে প্রতিদন্ধীতা করে হেরে গিয়ে তার ভাই মিজান সরকারসহ কয়েকজন মিলে আমার বড় ভাইকে নির্মমভাবে অত্যাচার ও মারধর করে। আমি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
আহত শাহআলম বলেন, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস ও ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুল হাসান বাতেনের ভগ্নিপতি। সে দীর্ঘ ৩৫ বছর এই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিল। কমপ্লেক্সের বহু টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখন কমিটিতে থাকতে না পারায় আমাকে একা পেয়ে মোস্তফা সরকার ওতার ভাই মিজান সরকারসহ কয়েকজন মিলে জখম করছে। অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা সরকারের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে নিউজ লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন ছিল।