ডেস্ক নিউজঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলে শোকাবহ আগস্টে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহীদের স্মরণে ‘শোক হোক শক্তি, শোক থেকে জাগরণ, মুজিব তুমি স্মৃতিতে শ্রদ্ধায় থাকবে আমরণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শামসুন নাহার হল শাখা আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সৎ, সাহসী ও আপসহীন। ১৯৩৮ সালে অবিভক্ত বাংলার শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যখন গোপালগঞ্জের মিশন স্কুল পরিদর্শনে যান, তখন কিশোর বঙ্গবন্ধু ওই স্কুলের চাল দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ার কথা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছে তুলে ধরতে একটুও দ্বিধাবোধ করেননি। কারণ, ন্যায্য দাবির প্রশ্নে তিনি (বঙ্গবন্ধু) সবসময়ই আপোষহীন ছিলেন।
এ সময় পলক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা দিয়েছেন। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত তিনি দেখিয়ে গেছেন, তা আমাদের ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে অনুসরণ করার পাশাপাশি কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।’
বিশ্বের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একমাত্র নেতা, যিনি জীবনে কখনো অস্বচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করেননি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন সৎ, রাজনৈতিক জীবনে সাহসী, পারিবারিক জীবনে স্বচ্ছ, জাতীয় জীবনে অত্যন্ত দূরদর্শী এবং আন্তর্জাতিকতার ক্ষেত্রেও ছিলেন ন্যায় পরায়ণতার প্রতীক।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার মূল কেন্দ্রবিন্দুই ছিলো বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ।
শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আখতার উর্মির সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারন সম্পদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, শামসুন নাহার হল শাখার সাবেক সভাপতি নিপু ইসলাম তন্নী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা বক্তৃতা করেন।