• বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
Headline
মতলব উত্তরে অবৈধ ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ১ জন নিহত মতলবে সৌদি মালিককে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে এলেন প্রবাসী মোবারক চাঁদপুরের বিপণীবাগের আবাসিক হোটেল থেকে মতলবের রুবেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বাণিজ্য মেলায় সাংবাদিকের উপর হামলা : আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ায় ক্ষোভ শ্রীনগরে মাদিনাতুল উলুম মডেল মাদ্রাসারবার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মোস্তফা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরের পাচঁআনি উবি’র বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা  পুরস্কার বিতরণ মতলবের মেঘনায় মরা মাছ ভেসে ওঠার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন মতলব উত্তরের আনন্দ বাজারে নিউ পপুলার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের  উদ্বোধন শ্রীনগরে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত 

নাগরপুরে তাঁতে তৈরী শীতের পোষাক শাল চাদর এখন দেশব্যাপী

Lovelu / ২২৪ Time View
Update : শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

মো. আমজাদ হোসেন রতন:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় তাঁতের শাড়ীর পর দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে আকর্ষণীয় শাল চাদর। জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। তাঁতে তৈরী বাহারী ডিজাইন আর নিপুন কারুর্কায্যে আর্কষণীয় শীতের পোষাক শাল চাদর প্রায় সব বয়সের নারী-পুরুষের পছন্দ। তাঁতে তৈরী এসব শাল চাদর শীতের শুরুতেই পৌছে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শো-রুম গুলোতে।
এ চাদর সহজে রমণীদের মনে স্থান করে নিয়েছে, আকর্ষণীয় ও মনোরম তাঁতে তৈরী শাল চাদর। এ শাল চাদরের বৈশিষ্ট্য হল বাহারি রঙের সুতা দিয়ে হাত ও তাঁতকলে আর্কষণীয় ডিজাইনের কারুকার্যে তৈরি করা হয়। দুই/আড়াই হাত প্রস্থ এবং চার/পাঁচ হাত দৈর্ঘ্যে তৈরি হয়। বর্তমানে ফ্যাশান উপযোগী করে এ শাল চাদর তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান কারিগররা।
উপজেলার পংবাই জোড়া, কেদারপুর ও চানপাড়া সব চেয়ে বেশি শাল চাদর তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। (নাগরপুর ও দেলদুয়ার) দুই উপজেলার অঞ্চলের প্রায় ৬ শতাধিক পরিবার শাল চাদর তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
তাঁত মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর শাড়ী তৈরী করলেও শীত মৌসুমের শুরু থেকে মধ্য শীত পর্যন্ত তারা বেশী পরিমানে শাল চাদর তৈরী করেন। তাঁত শ্রমিকরা জানান, একজন শ্রমিক দিনে হাতে ৮ টা তাঁত বোনাতে পারে। পাপে আর হ্যান্ডলোম মেশিনে ১২ থেকে ১৫ টা শাল চাদর তৈরী করেন। এতে যা মুজুরী পান তাতে কোন রকমে তাদের সংসার চলে।
তাঁত মালিকরা জানান, সুতাসহ অন্যান্য উপকরনের মূল্য বৃদ্ধির কারনে তাদের শাল চাদর তৈরীর প্রধান প্রতিবন্ধকতা। এ শিল্পের সাথে জড়িত অনেকে তাঁত বিক্রী করে বিদেশ চলে গেছে, আবার অনেকে অল্প পুজি নিয়ে তারা শাল চাদর তৈরী করছেন। এ অঞ্চলে তৈরী ফ্যাশনেবল শাল চাদর ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে গেছে বিক্রীর জন্য। তাঁত তৈরী শাড়ির পাশাপাশী শাল চাদর শিল্পটির সম্প্রসরনের জন্য কাজ করছে জেলা তাঁত বোর্ড।
 শিল্পর সাথে জড়িতরা জানান,সুষ্ঠ বাজার ব্যস্থাপনা, সরকারী-বেসরকারী প্রনোদনার পরিধি আরো বাড়ানো এবং সরকারী ভাবে শীত প্রধান দেশগুলোতে ব্যাপকহারে শাল চাদর রফতানীর উদ্যোগ নেয়া গেলে আরো অনেকদুর এগিয়ে যাবে এ শিল্প।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category