আল-আমিন ভূঁইয়াঃ
ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। ফলে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বেড়েছে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ। শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে সাতটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এদিকে যাত্রী বেশি থাকায় লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। লঞ্চ যাতায়াত নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ায় চাঁদপুর ও আশেপাশের জেলার বাসিন্দারাও এ রুট ব্যবহার করায় চাপ কিছুটা বেড়েছে।
যাত্রীদের দাবি, অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হলে ভোগান্তি আরও কমবে তাদের। অপরদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত এ চাপ থাকবে। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে লঞ্চগুলো যাতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
লঞ্চের যাত্রী কাইয়ুম খান, রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি। এখন নিজ কর্মস্থলে ফিরতে হবে। তাই যাত্রী যত বেশি হোক আর যত ভোগান্তি হোক না কেন আমাদের তো ঢাকা পৌঁছাতেই হবে।’
জাকির মিজি নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘আজ ঢাকাগামী যাত্রীর একটু চাপ বেশি থাকবেই। তবে সংশ্লিষ্টদের অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। তাহলে চাপ আরও অনেক কমে যেত।’
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ-এর পরিবহন পরিদর্শক মো. শাহ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ১০ জুলাই ঈদুল আজহার পর থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে আজ সকাল থেকে চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পাঁচটি লঞ্চের ব্যবস্থা আমাদের পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে। যদি যাত্রীর চাপ অতিরিক্ত বাড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেই লঞ্চগুলো দেবো।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চে যাতে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বহন করা না হয় এজন্য জেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আগেই আমরা সেগুলোকে ঘাট ছাড়তে বাধ্য করছি।