মোঃ সাজেদুল ইসলাম ,গাইবান্ধা:
উপনির্বাচনে জাল ভোট, ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টিসহ চার প্রার্থী একসাথে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার বেলা পৌণে ১২টার দিকে সাঘাটার বগারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন চার প্রার্থী।
ভোট বর্জনকারী চার প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টি থেকে এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু , বিকল্পধারার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও মাহবুবুর রহমান। এ সময় অবিলম্বে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এ আসনে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান তারা।
এসময় তারা বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় সব কয়টি গোপন কক্ষে নৌকা মার্কায় জোর করে সুইচ টিপে ভোট নিচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন। ভোটারদের এমপি পদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। সব কেন্দ্রের সব প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। আমরা আশা করেছিলাম নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। আমাদের সে আশা ব্যর্থ হলো। কোনো এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি।
এর আগে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বুধবার সকাল ১১ টার দিকে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে ৩১ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা বিষয় জানায়। এর মধ্যে ফুলছড়িতে ৫টি এবং সাঘাটা উপজেলার ২৬টি কেন্দ্রে রয়েছে।
সকাল ৮টায় সাঘাটা উপজেলার ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলার ৫৭টি সহ মোট ১৪৫ টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোট শুরু হয়। ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকছে সব ভোটকেন্দ্র। এবারই প্রথম ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ আসনটিতে ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ভোট শুরুর সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।