মোঃ সাজেদুল ইসলাম, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শোভাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামে হত্যা মামলার আসামীদের ভয়ে ও বসতবাড়ীর রাস্তা বন্ধ করায় বাধ্য হয়ে তিন সন্তান নিয়ে অন্যের বাড়ির গোয়াল ঘরে ঠাঁই হয়েছে হত্যা মামলার বাদী নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের।
গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আজ শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মরুয়াদহ গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। আশেপাশেই থাকেন তার আত্মীয় স্বজনরা। তারাই গ্রামবাসী আব্দুল হাই ,আব্দুল জলিল, বাবু মিয়া ,বাবলু মিয়া, নুরুন্নবী মিয়া, রুহুল আমিন, এনামুল হক ও রানা মিয়া। আব্দুল হাই মিয়ার সাথে তার বড় বোন জেলেখা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে হাই মিয়ার সাথে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষ হাই মিয়া ও তার স্বজনরা মিলে গভীর রাতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গত ২০ মার্চ জেলেখা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এঘটনায় ওই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন নুরুল ইসলাম । মামলা মাথায় নিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়ালেও তারা নুরুল ইসলামের পায়ে হাটা পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে হত্যা মামলার আসামীরা বাদী নুরুল ইসলামের বাড়ি যাতায়াতের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। ফলে নুরুল ইসলাম তার তিন সন্তান সহ বাড়ির পেছন দিয়ে বের হয়ে অন্য বাড়ির গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেন । প্রায় ৭ মাস যাবৎ তিনি অন্যের আশ্রয়ে আছেন ।
অভিযুক্তরা এই বলে হুমকি দেন যে তুই মামলা তুলি নে, তারপর তোক রাস্তা দেমো। না হলে তোর বাড়িত যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। দেখি তুই বাড়িত থাকিস ক্যামন করি। এই কথা বলে বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন বাঁশের বেড়া দিয়ে। এ অবস্থায় গ্রামবাসী ও চেয়ারম্যান মেম্বরদের শালিশী বৈঠক হয় কয়েক দফা । কিন্তু সমাধান হয়নি। তাই তিনি বিপদ মাথায় নিয়ে আজ আসেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে। তিনি সাংবাদ সম্মেলনে উপরিউক্ত কথা বর্ণনা করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন ।