মোঃ ইবাদৎ হোসেন,অভয়নগর(যশোর)প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বিভন্ন এলাকায় রয়েছে বিস্তীর্ণ খাল বিল জলাশয় ও হাওর বাঁওড় ।
হেমন্তে হাল্কা শীতে প্রকৃতি যখন সাজছে নবরূপে ঠিক এমন সময় অপার সৌন্দর্য নজর কাড়ছে সাদা বকের সারি। দেখে মনে হচ্ছে শিল্পীর তুলিতে আঁকা দৃষ্টিনন্দন কোন ছবি।
দেখা মিলে যশোরের অভয়নগরে পুড়াখালী বাওড়ের ও পাশের জলাশয়ে। স্নিগ্ধ সকালে চোখে পড়ে তাদের কোলাহল। মনে হচ্ছে শিল্পীর তুলিতে আকা দৃষ্টিনন্দন কোন ছবি। জায়গা দখল আর খাদ্যসংগ্রহের প্রতিযোগীতা। কখনো ঘুপটিমেরে লুকিয়ে থাকতে দেখা যায় পুকুর পাড়ে। কোথাও আবার ঘন বাঁশ বনে দল বেঁধে বসে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে খাবারের সন্ধানে।
সাদা বকের অপরূপ দৃশ্য এক সঙ্গে অনেক বকের সারি দেখে মন জুড়িয়ে যায় । আকাশে শুভ্রতা ছড়ায় এই সাদা বক।সাদা রঙের এ বকগুলোর প্রিয় খাবার মাছ, ঝিনুক, কাঁকড়াসহ জলজ পোকামাকড়। এরা জলের মায়া ভুলতে পারে না। তাই বিভিন্ন অঞ্চলের হাওরগুলোতে বছরের বারো মাসই কমবেশি বকের ডানা ঝাপটানোর শব্দ পাওয়া যায়। কিংবা বাসে করে যাওয়া-আসার পথে হাওরে শুভ্র স্নিগ্ধ সাদা বকের সারি দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা।
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় নিঃসন্দেহে অবদান রাখছে দৃষ্টিনন্দন এই বক পাখি। তবে আগের মতো প্রাকৃতিক জলাশয় না থাকায় হুমকিতে পড়েছে পাখিগুলো। এছাড়া শিকারির খপ্পরে পড়ে প্রাণ হারানোর ঝুঁকিও রয়েছে।
তবু্ও জলাশয়ে খাদ্য সংগ্রহের জন্য ছুঁটে আসা সাদা বকের ঝাঁক আমাদের মনকে উৎফুল্ল করে তুলেছে। তাইতো রবি ঠাকুর লিখেছেন ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরাতাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা সে যে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা- এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।