মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনিঃ
হাইমচরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৩ আগষ্ট শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহা বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কামরুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে হাইমচর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় হাইমচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, হাইমচর কলেজে চাকুরির সুবাধে কামরুল ইসলাম (৫৫) নীলকমল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীত পার্শ্বে নুরু মুন্সির বাড়ির নিছ তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। তারই পাশের রুমে সুজন নামের ব্যক্তি ভাড়া থাকেন। পাশের ভাড়াটিয়া সুজন শিক্ষক কামরুল ইসলামের গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার ব্যবহার করার জন্য চাইলে তিনি তাকে সিলিন্ডার ও চুলা দিয়ে সহযোগীতা করেন। কিন্তু দুই দিনের কথা বলে সুজন সিলিন্ডার ও চুলা অনেকদিন যাবত ব্যবহার করেন। অনেকবার চুলা ও সিলিন্ডার ফেরত চাওয়ার পরে সুজন তা দিতে অস্বীকৃিত জানায়। এক পর্যায়ে শনিবার রাত ৯টায় অধ্যাপক কামরুল ইসলাম সুজনের বাসা থেকে চুলাও সিলিন্ডার নিয়ে আসেন। সুজন রাত সাড়ে ৯ টার সময় স্থানীয় এরশাদ মৃর্ধার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫)কে সাথে নিয়ে গিয়ে কলেজ শিক্ষকের রুমে ডুকে ধরজা বন্ধ করে এলোপাতাড়ী মারধোর করেন। স্থানীয় লোকজন তার চিৎকারে এগিয়ে আসলে তারা দুজন চলে যায়। স্থানীয় লোকজন কলেজ শিক্ষককে আহত অবস্থায় হাইমচর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
আহত কলেজ শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, আমার পাশের রুমে সুজন বাসা ভাড়া নেয়। সে আসার পর তার রান্না করার জন্য আমার সিলিন্ডার ও চুলা দুই দিনের জন্য চাহিলে আমি তাকে সহযোগীতা করি। আমার সিলিন্ডার ও চুলা দেই দিচ্ছি করে অনেকদিন যাবত সে তা ব্যবহার করছে। আজ আমি চুলা ও সিলিন্ডার চাইতে গেলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমি তার রুম থেকে আমার সিলিন্ডার ও চুলা নিয়ে আসি। কিছুক্ষন পর সে স্থানীয় আনোয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে এসে আমার উপর হামলা করে। আমি আইনি সহযোগীতা চেয়ে হাইমচর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। আমি আশা করি হাইমচর থানা পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবে