মোঃ সাজেদুল ইসলাম, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উজান বোচাগাড়ী গ্রামে জুয়া খেলা এবং সুদের টাকাকে কেন্দ্র করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উজান বোচাগাড়ী গ্রামে মৃত. ফজল উদ্দীন ব্যাপারীর ছেলে সাইফুল ইসলাম, আবু সালেহ, মৃত. আমান উল্লাহ’র ছেলে জমিউল হক, আকব্বর আলীর ছেলে রাজা মিয়া, জমিউল হকের ছেলে আব্দুল মতিন, দুলু মিয়া, আব্বাস আলীর ছেলে রাশিদুল ইসলাম ও আনারুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে সুদের টাকা (দাদন ব্যবাসী) এলাকায় ছড়িয়ে দেয়।
এলাকার কিছু লোক অভাবের তাড়নায় সুদের টাকা গ্রহণ করে সঠিক সময়ে দিতে না পারায় দাদন ব্যবসায়ীরা জোরপূর্বক জমি দখলসহ দলিল সম্পাদন করে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, উক্ত এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত চলন্ত নৌকায়, চরের নির্জন এলাকায়, বাঁশঝাড়ে, পরিত্যক্ত ঘর এবং ঘোয়াল ঘরে সুকৌশলে জুয়া খেলা চলে।
এছাড়াও জুয়া খেলা চলাকালে সুকৌশলে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে জুয়াড়িদের লোক অবস্থান করে। অচেনা লোক প্রবেশ করা মাত্রই সচেতন করা হয়।
মনজু মিয়ার ছোট ভাই উক্ত দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুদের টাকা গ্রহণ করে জুয়া খেলতো। সঠিক সময়ে সুদের টাকা দিতে না পারায় আবাদি জমি বিক্রি করে সুদের টাকা পরিশোধ করেন। তথাপি দাদন ব্যবসায়ী টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে মনজু মিয়ার ছোট ভাই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা বজলার রহমানের পরিবারের যাতায়াতে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। ফলে পরিবারের লোকজন প্রায় ২ মাস থেকে চলাচল করতে পারছে না।
চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফুল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমার বাসা অনেক দূরে, তবে আমি বিষয়টা দেখছি।
এ ব্যাপারে বজলার রহমানের ছেলে মনজু মিয়া প্রতিকার চেয়ে গত ২৪ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে চন্ডিপুর ভূমি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, আমি এলাকায় গিয়েছিলাম, দুপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আগামী বুধবার এ বিষয়ে আলোচনায় বসা হবে।