• বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
Headline
শ্রীনগরে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী ফুলছড়ি’তে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ লটারি কার্যক্রম স্থগিত মতলব উত্তরের আলোচিত জুয়েল হত্যা মামলায়  পাঁচ আসামির ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন উত্তরায় গণধোলাইয় দিয়ে আদম বেপারীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ  অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে উঠলে ব্যবসা ও অর্থনীতি জীবন ফিরে পাবেঃ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন নকলার পাঠাকাটায় ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে যুবক নিখোঁজঃ মুক্তিপণ দাবি  ফুলছড়িতে পার্টনার কংগ্রেস কর্মশালা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধার ফুলছড়িতে এনটিভির ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভা  ৪৪ তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ১১ তম মতলব উত্তরের রিয়াজ উদ্দিন 

রূপগঞ্জে শীতের পরশে জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি

Lovelu / ২১২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

মোঃ রাসেল মোল্লা,রূপগঞ্জ( নারায়ণগঞ্জ)ঃ

তাই শীত এলে গ্রামে-গঞ্জে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে। গ্রামীণ হাটবাজারে নানা রকম পিঠা বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা ও চিতাই পিঠা। এসব পিঠার সমাদর সবখানেই সমানভাবে রয়েছে। শীত বাড়ার সাথে সাথে শহরের পাশাপাশি গ্রামেও শীতের পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে।

রূপগঞ্জ উপজেলার আনাচে-কানাচে এখন এই শীতে পিঠা ব্যবসায়ীদের পিঠা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম। রূপগঞ্জ উপজেলা অলিগলিতে রাস্তার আশপাশেও পিঠাপুলির ভ্রাম্যমাণ দোকান বসে। এসব দোকানে কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকেরা পিঠা তৈরি করে ক্রেতার কাছে বিক্রি করেন।

রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া বাজার, ভূলতা বাজার, কাঞ্চন বাজারসহ বিভিন্ন মোড়ে পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতাদের সমাগম বৃদ্ধি পায়। ক্রেতাদের সমাগমে বিক্রেতারাও খুশি। পিঠার দামও বেশি নয়। চিতই পিঠা ১০ টাকা ও ভাপা পিঠা ১০টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এ ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন অনেক বিক্রেতা।

মুড়াপাড়া বাজারের পিঠা বিক্রেতা কামাল জানান, তিনি প্রতি শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করেন। এসময় তার প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টাকা বিক্রি হয়। যার মধ্যে প্রায় হাজার টাকার মতো তার লাভ তাকে। বিক্রি ভালো বিধায় সে খুশি।

হাটাব গ্রামের পিঠা বিক্রেতা রোবিয়া বেগম জানান, এই পিঠা দাম কম হওয়ায় সব ধরণের মানুষই এখানে ভিড় করেন পিঠা খেতে। কেউ কেউ আবার পিঠা কিনে নিয়ে যান বাসার খাওয়ার জন্য। অন্যদিকে বিভিন্ন রকমের ভর্তার পিঠাও রয়েছে। যাতে কাঁচামরিচ ও সরিষাবাটা থাকে।

বাজারের ব্যবসায়ী রবিউল আলম পিঠা খেতে এসে বলেন, আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এসব দোকান থেকে পিঠা খাই। আগে যদিও বাড়িতে এসব পিঠা বানানোর হিড়িক পড়তো এখন তা আর দেখা যায় না।

এনজিওকর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি অফিস শেষ করে মাঝে মাঝে এসব দোকান থেকে পিঠা কিনে খাই। সন্ধ্যার নাস্তাও হয়, শীতের একটা আমেজও পাওয়া যায়। এসব পিঠা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও এই ঐতিহ্যকে লালন করি।

শীতের সাথে পিঠার যে একটা নিবিড় সম্পর্ক তা ভাপা ও চিতল পিঠা খাওয়ার মধ্যেই বোঝা যায়। আর বন্ধুদের সাথে নিয়ে তা খেতে মজাই আলাদা। প্রায় দিনই তিনি পিঠা খান বলে এই প্রতিবেদককে জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category