মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনিঃ
বৃষ্টি দেখে বর্ষাকাল মনে হলেও ঋতুতে এখন শীতকাল। মাঘের শেষে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হাইমচরের জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি)বাদ জুমা থেকে টানা বৃষ্টি ও ধমকা হওয়া,কোথাও তা মুষলধারে আবার কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি। এতে শীতের তীব্রতা যেমন বেড়েছে তেমনি জনজীবনে নেমেছে অস্বস্তি।
শীতের মধ্যে অসময়ে ১ দিনের টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে হাইমচরের কৃষকরা। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বোরো ধানের বীজতলা,সয়াবিনের বীজতলা,হুমকির মুখে শীতকালীন সবজি ও ফসল।
নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সয়াবিনের বীজতলা,আলু খেতে ছত্রাকের আক্রমণ ও শীতকালীন সবজি। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, বৃষ্টির কারনে তার পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন হাইমচরের কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাঘ মাসে সাধারণত বৃষ্টি হয় না ধরে নিয়ে অনেক কৃষক বোরো মৌসুমের জন্য সয়াবিন,বোরো ধানের বীজতলা করেছেন অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে।বৃষ্টির পানিতে যার প্রায় আশিভাগ তলিয়ে গেছে।
ফলে বোরো আবাদে বিলম্বিত হবে এবং খরচ বেড়ে যাবে। আর দেরিতে আবাদের কারণে আশানুরুপ ফলনও হবে না।
এতে করে লোকসানের মুখে পড়বে চাষিরা।
হাইমচর উপজেলার কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, রবি ফসল- গম, শরিষা, মসুর ডাল, শীতকালীন সবজি- মরিচ, লাল শাক, বেগুন, মূলা, পাতা কফি, ফুল কপি ও ওল কপির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কারণ হঠাৎ বৃষ্টির পানি সহ্য করতে পারে না এসব ফসল।
হাইমচরে পূর্ব চর কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নজু মল্লিক,মিজান সর্দার বলেন,আমি ছয় খন্ডে ৪০ কেজি সয়াবিন বীজ ফেলেছিলাম।তার চার খন্ডই তলিয়ে গেছে।গামলা দিয়ে পানি সেচে বীজতলা বাঁচানোর চেষ্টা করছি।
উপজেলা কৃষিবিদ দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, গত ১ দিনের টানা বৃষ্টিতে শীতকালীন ফসল ও সবজি,বীজতলা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি ও তীব্র শীতের সাথে শৈত্য প্রবাহের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির কারণে এ বছর রবি আবাদ বিলম্বিত হতে পারে এবং এ কারণে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।