নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিজারিয়ান অপারেশনের পর হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে জন্ম নেওয়া নবজাতককে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটে ২৬ জানুয়ারী চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলাস্থ ছেংগারচর পৌরসভার পালস এইড জেনারেল হাসাপাতাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে। গত ২ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাতে হাসপাতালে অভিভাবকরা এসে হাসপাতালে কান্না কাটি করলে বিষয়টি চারদিকে জানাজানি হয়ে যায়। নবজাতক শিশু বিক্রির বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর অভিভাবক একে অপরের প্রতি দোষারোপ করে।
নবজাতকের দরিদ্র মা-মা’র অভিযোগ,সিজারিয়ান অপারেশনের ২৬ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করার সামর্থ্য না থাকায় আদরের সন্তানকে কৌশলে বিক্রি করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর কাঁদতে কাঁদতে তারা বাড়ী চলে যায়। হাসপাতালের বিল পরিশোধের সামর্থ না থাকায় শিশুটির দরিদ্র বাবা-মা জোড়ালো প্রতিবাদও করতে পারেনাই।
মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় গ্রামের দিনমজুর মো. আলমের স্ত্রী তামান্না বেগমের প্রসবব্যথা উঠলে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ২৬ জানুয়ারী ছেংগারচর পালস্ এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনে পুত্রসন্তান জন্ম দেন তামান্না। ২৮ জানুয়ারী পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তিনি। রিলিজের সময় ক্লিনিকের বিল আসে ২৬ হাজার টাকা।
ওই টাকা পরিশোধ করার সামর্থ্য ছিল না তামান্না বেগমের। এ অবস্থায় ছেংগারচর বাজারের কাউসার নামে এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল নেয় তারা। কিন্তু সন্তান বিক্রির পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন মা। অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে প্রতিদিন কাঁদছিলেন ওই মা।
হাসপাতালে ব্যবস্থাপক লিমন সিকদার বলেন, সিজারিয়ান অপারেশন আমাদে এই হাসপাতালে হয়েছে। কিন্তু বাচ্চা বিক্রির বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান বলেন, এ বিষয়টি আমি এখনই জানলাম। খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।