শহিদুল ইসলাম খোকন :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কামাল মল্লিকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ ও মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গত ২৮ আগস্ট রবিবার উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামে কামাল মল্লিকের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তব্য দেন কামাল মল্লিক, হোসেন মল্লিক, রং মালা, রোবেল হোসেন প্রমুখ।
কামাল মল্লিক বলেন, আমি গত ১০ বছর ইউপি সদস্য থাকা অবস্থায় সরকারের তৃনমূল পর্যায়ের অনেক উন্নয়ন কাজ করেছি। যা এলাকাবাসী অবহিত আছেন। সাধারন মানুষের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।
আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও শেখ হাসিনার কর্মী। আমি দলীয়ভাবে ইউনিয়ন যুবলীগ করি।। আমার ইউপি নির্বাচনে ৩ বার সদস্য পদে নির্বাচন করি। দুই বার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হই। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদন্ধী প্রার্থী ও তাদের সমর্থক একই গ্রামের নজরুল মেম্বার, সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হক, বিএনপি নেতা কুদ্দুস, তুহিনসহ আরো কিছু লোকজন আমার বিরোধিতা করে আসছে। তাছাড়া রাজনৈতিকভাবেও তারা বিএনপি করায় তাদের সাথে শত্রুতা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সময় তারা জোট বেধে আমাকে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বারবার হয়রানি করে আসছে।
নজরুল মেম্বারের নেতৃত্বে ১০/১২ জন মিলে একটি চক্র। এই চক্রটি মাদক বিক্রি, ধর্ষণ, মারামারিসহ সব ধরনের অন্যায় কাজে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়।
দক্ষিণ মান্দারতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে একটি রাস্তা সংসকারের সময় বেকু ব্যবহার করে মানুষের গাছগাছালী নষ্ট করে ফেলেছে। অথচ বেকু দিয়ে কাজ করার কোন নিয়ম নেই। এতে ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলেনা। মিজান বেপারি নামে একজন প্রতিবাধ করতে গেলে তারা তার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। এমনকি মিজানের মা এবং বোনকে মারধর করে।
গত ১৭ আগষ্ট গভীর রাতে হয়তো কোন নারী সংক্রান্ত বিষয়ে কুদ্দুসকে কে বা কাহারা মেরেছে তা আমি জানিনা। অথচ কুদ্দুস আমাকে বিবাধী করে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। গত ২৭ আগষ্ট ঐ চক্র সংঘবদ্ধ হয়ে বিএনপি -জামাত নেতাকর্মী অন্য গ্রামের লোকজন এনে ও টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। অথচ কুদ্দুসের মারামারির ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। সাংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা সমপূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, মান্দারতলী গ্রামের বিল্লাল বেপারি, মামুন বেপারি, জাকির হোসেন আরিফ হোসেন,,মিন্টু বেপারি, বাবর আলী, আবুল কালাম,মোছলেম বেপারিসহ অর্ধ শতাদিক পরিবার কুদ্দুসের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছে। সে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাস।
প্রিয় সাংবাদিকগন, আপনারা জাতির বিবেক, সমাজের দর্পন। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে সত্যটা প্রকাশিত হউক আমি তা চাই।
শুধু তাই না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা মারধর, গালমন্দ ও হত্যার হুমকি দেয়। অন্যায় করতে করতে তাদের সাহস বেরে গেছে।
তাদের প্রতিহত করতে সাধারণ মানুষ আজ জেগে উঠেছে। তা না হলে তারা আরো অপরাধ কর্মকাণ্ড করতে থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. রাজা মলিক তোফাজ্জল মলিক, কাদির মলিক সূরুত আলী , জাহাঙ্গীর আলম , আলী আহাম্মদাহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।