• সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
Headline
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও বিদায় হলেও দেশ এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়ঃ অধ্যাপক ডাঃ সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম শ্রীনগর পাটাভোগ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মতলব উত্তর উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে দূর্গাপুর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে মতলব উত্তরে মইনীয়া যুব ফোরামের  মানববন্ধন  রুদ্র দারুল কোরআন মাদানিয়া মাদ্রাসার ভবনের নির্মাণ কাজ  চলছে ফুলছড়িতে গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা মতলব উত্তরে বাজার ও মৎস্য আড়দে অভিযানে জাটকা ইলিশ  জব্দ  নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে মতলবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ফুলছড়িতে খেলতে গিয়ে নদীতে পড়ে সিফাত নামে এক শিশু নিখোঁজ

মতলবের সোলেমান লেংটার মেলায় নেশাখোরদের দেখলেই মনে হয় যেনো এটা মাদকের স্বর্গরাজ্য

Lovelu / ২৩০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর (বেলতলী)শাহসূফী সোলেমান লেংটার মাজারে চলছে ১০৩তম ওরস। ৩১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ৬ এপ্রিল পর্যনÍ। মেলায় চলছে অশ্লীল নৃত্য, মাদকের রমরমা আসর, ধর্মীয় গান ও মজমা। মেলায় মাদকের রয়েছে ৫ শতাধিক দোকান। তবে প্রকাশ্যে মাদকের রামরমা হাটের বিষয়টি চোখে পড়ার মতো। । নেশাখোরদের দেখলেই মনে হয়  এটা যেনো মাদকের স্বর্গরাজ্য ।

প্রতিদিন অশ্লীল নৃত্যের তালে তালে ছিটানো হচ্ছে টাকা। স্থানে স্থানে পাগলের ভক্তরা গাঁজার আসর বসিয়ে গাঁজা সেবন করছেন। মাদক সেবনে জোগ দিচ্ছেন দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা যুববরা। তারা মনে করেন লেংটার মেলায় এসেছেন আর গাঁজা খাবেন না তা কি করে হয়? সব মিলিয়ে এ যেনো ওরসের নামে মাদকসেবীদের মহামিলন।

সোলেমান লেংটা উপমহাদেশের একজন খ্যাতিমান আউলিয়ার দাবিদার। বাংলা ১২৩০ সালে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার গোবিনাদপুর ইউনিয়নের আলীপুর নামক গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে শাহ্ সুফি সোলেমান লেংটা জন্ম গ্রহণ করেন। তার জীবনের অধিকাংশ সময়ই কাটিয়েছেন মতলবের বিভিন্ন অঞ্চলে। সোলেমান লেংটার বোনের বাড়ি বদরপুরে মাজারটি অবস্থিত।

১৩২৫ বাংলা সনের ১৭ চৈত্র শাহ্ সুফি সোলেমান লেংটা তার বোনের বাড়ি বদরপুর গ্রামে মৃত্যুবরণ করলে সেখানে কবর দিয়ে মাজার স্থাপন করা হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসের ১৭ তারিখে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী ওরশ এবং মেলা বসে সেখানে। ৭ দিনের এ মেলায় আসা প্রতিটি দোকান থেকে ৫,১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। মাজারে মানত মানতে দেয়া হচ্ছে গরু, ছাগল, নগদ অর্থ, আগরবাতি ও মোমবাতি। প্রতিদিন উঠছে কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এখানে বাণিজ্য হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। এ টাকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার। অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় মাদকসেবীরা মাজারের পশ্চিম অঞ্চলের পুকুরের পাড় ও পুকুর সংলগ্ন কাঠের বাগান এলাকা, ধনাগোধা বেড়িবাঁধ লাগোয়া বাঁধের ভিতর-বাহির, নদীরপাড়সহ বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে প্রায় ৫ শতাধিক মাদক বিক্রি ও সেবনের আস্তানা গেরে বসেছে। সকল প্রকার মাদক দ্রব্যই পাওয়া যায় এ মেলায়। আর প্রতিদিন বিকেল থেকেই জমতে থাকে এইসব মাদকের দোকান। চলে সারারাত। মেলা প্রাঙ্গণ যেন নেশার স্বর্গরাজ্য ও নিরাপদ স্থান। দলে দলে আস্তানায় চলছে মাদক সেবন। মেলা প্রাঙ্গণের বাতাসে বইছে গাঁজার গন্ধ।

উপজেলার চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ইসলামে মাদকের কোন সুযোগ নেই। আর বদরপুর মেলায় যদি মাদকের আস্তানা বসে থাকে তা ইসলাম কোনভাবেই সমর্থন করেনা।

মেলার আইন শৃংখলার দায়িত্বে থাকা মতলব উত্তর থানার ওসি (তদন্ত)মাসুদ জানান, মেলায় লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়। মেলায় অনেক পাগল লোক আসে। মাদক বিক্রি ও সেবনের সময় আমরা সামনে গেলে তারা দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।আর এভাবে আমরা কতজনকে আটক করবো?

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category