স্টাফ রিপোর্টার :
১ আগস্ট বেলা ১১টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল রহিম খান নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় সরজমিনে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়টি মঞ্জুরি বাতিলের ঝুঁকিতে রয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বোর্ড থেকে চিঠি পাঠিয়েছে সরকারি নিয়মানুযায়ী ভূমি ক্রয়ের জন্য। এই বিদ্যালয়ের নামে ৭৫ শতাংশ ভূমি থাকার কথা। এর মধ্যে রয়েছে ১০ শতাংশ। আরও ৬৫ শতাংশ জমির প্রয়োজন। জমি ক্রয়ের জন্য আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু অদ্যবধি বিদ্যালয়ের নামে ভূমি ক্রয় করতে পারেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত ৩০ জুলাই নায়েরগাঁও পাটন, চরনায়েরগাঁও, হরিয়ন, সাহাপুর ও তিতারকান্দি গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মোঃ শফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম, বিদ্যালয়ের নামে জমি ক্রয়, ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতলব দক্ষিণ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চাঁদপুর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লার বরাবরে প্রেরণ করেছেন।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের নামীয় জমির প্রয়োজনীয় দলিলসহ কাগজপত্র, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের কাছ থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের নামের একাউন্টে জমা দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া তিনি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের নামে শুদ্ধাচার তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ ও ভোটার তালিকা শুদ্ধভাবে না লিখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা শুদ্ধভাবে তৈরি করার জন্য নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিমিয় করেন। এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের নামে ৬৫ শতাংশ জমি প্রদানের জন্যে পরামর্শ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির তালুকদার, সাবেক সভাপতি রিপন মিয়া, সাবেক সদস্য সফিকুল ইসলাম, সফিউল আলম মাসুদ, সিরাজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন প্রধান, অভিভাবক মোঃ শফিকুল ইসলাম, ওমর ফারুক, নিজাম উদ্দিন মুন্সী, ডাঃ কিশোর কুমার পাল লিটন, এম এ মালেক, ফরহাদ হোসেন ফারুক, গোবিন্দ ঘোষ, মনির বয়াতী, মোঃ শাজহান মুন্সী, মোঃ মিলন, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ রাজ্জাক, মোঃ মামুন মিয়াসহ শতাধিক অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।