আবদুল মান্নান সিদ্দিকীঃ
গরুর নাম বিক্রমপুরের বস ও কালো মানিক। বসের দাম ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা আর কালো মানিকের দাম ১০ লাখ। দাম শুনে বোঝা যাচ্ছে কেমন হবে দেখতে। বিক্রমপুরের বস গরুটির ওজন ২৬ মন ও কালো মানিক গরুটির ওজন ২০মন।
মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলায় ৩ নং বীরতারা ইউনিয়নের সাতগাঁও শেখ বাড়ি ডেইরী ফার্মে গরু ২টি লালন-পালন করছেন শেখ আনাউল্লাহ। তিনি গরুটির দাম হেঁকেছেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বিক্রমপুরের বস দাম উঠেছে সাড়ে ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও কালো মানিকের দাম হেঁকেছেন ১১ লাখ টাকা দাম উঠেছে ৯লাখ টাকা।
শেখ আনাউল্লাহ জানান, সাদা রঙের গরুর বয়স পাঁচ বছর, কালো গরুর বয়স চার বছর। তিনি এই ২টিকে ঘাস, লতা-পাতা, খৈল, খড়, ভাতের মাড় খাইয়ে বড় করেছেন। সাদা গরুটি লম্বায় ৮ ফুট। আর কালো গরুর লম্বায় ৭ফুট। খুবই শান্ত ও রোগমুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত হলস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় ২টি তিনি আসন্ন কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করতে চান।
২০১৬ সালের দিকে শেখ আনাউল্লাহ বাড়িতেই গড়ে তুলেন গরুর খামার। বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন জাতের ১০টির মতো গরু রয়েছে। তবে তিনি যে গরু ২টি বিক্রির ইচ্ছে পোষণ করেছেন এই গরু ২টি তার খামারের প্রথম বড় আকারের গরু। গরুর মালিক আরো জানান, গরুটিকে মোটা তাজাকরণের ওষুধ ও ইনজেকশন এমন কিছুই প্রয়োগ করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দেয়া পরামর্শে সঠিক পরিচর্যা করা হয়েছে।
গরুটির পেছনে দৈনিক খাদ্যের খরচ হয় এক হাজার টাকা, প্রতিদিন গ্রামের অসংখ্য মানুষ গরুটিকে দেখতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেকেই গরুটি কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলেও জানান তিনি। কিন্তু দাম বনিবনা না হওয়ায় এখনো বিক্রি হয়নি।
শ্রীনগর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য ও পুষ্টির সুষম প্রয়োগে ষাঁড় ২টি পালন করা হয় এবং এভাবেই আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে আসছেন।
তিনি আরো বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে গরুর খামারিদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মার্কেটিং। এ ধরনের ষাঁড় বা দামি গরুগুলো সাধারণত ঢাকাসহ বাইরের ক্রেতারা কিনে থাকেন। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে চেষ্টা করছি আগ্রহী ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে।