• মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন
Headline
ফুলছড়িতে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, ১ বৃদ্ধ আটক মতলবে মোবাইল কোর্টে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা  মতলবে যৌথবাহিনীর অভিযানে ২ দালাল আটক  বিরামপুর ২৬ শেষ মার্চের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মতলবে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও বিদায় হলেও দেশ এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়ঃ অধ্যাপক ডাঃ সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম শ্রীনগর পাটাভোগ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মতলব উত্তর উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে দূর্গাপুর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে মতলব উত্তরে মইনীয়া যুব ফোরামের  মানববন্ধন 

বাণিজ্য মেলায় লোকসানের ঝুঁকিতে ব্যবসায়ীরা

Lovelu / ১৭২ Time View
Update : সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩

মোঃ রাসেল মোল্লা,রূপগঞ্জ( নারায়ণগঞ্জ):

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসর প্রায় শেষের দিকে। তৃতীয় সপ্তাহে এসে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লেও ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন।

তারা বলছেন, শুরুতে মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তুতির ঘাটতি থাকা ও শীতের কারণে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী বিশেষ ছিল না। যে কারণে আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি। এজন্য ব্যবসায়ীরা মেলার সময় ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে শেষ সময়ে এসে ব্যবসা জমাতে পণ্যের ওপর ছাড়সহ নানা ধরনের সুবিধা চালু করেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় উপস্থিত হচ্ছেন। মেলার স্থায়ী প্যাভিলিয়নসহ বিভিন্ন স্টলে ভিড় দেখা গেছে। দুপুরের পরে ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেলে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ জমজমাট হয়ে ওঠে। তবে কেনাকাটার চেয়ে মেলায় আগতরা ঘোরাফেরা বেশি করেছেন।

মেলায় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, পহেলা জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন হলেও অনেকে স্টল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৭/৮ তারিখে। এতে বেশিরভাগ স্টল মালিকরা ব্যবসায় পিছিয়ে গেছেন। এ ছাড়া মেলা জমতেও সময় লেগেছে।

একটি স্টলের মালিক জহির রায়হান বলেন, এবারের আসর শুরুর আগে সময় কম পাওয়ায় স্টল নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে দেরি হয়েছে। তাই মেলার অষ্টম দিন থেকে পুরোপুরিভাবে স্টলে বেচাকেনা শুরু করতে পেরেছি। এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো না হলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে।

মেলার আরেক ব্যবসায়ী জিয়াউর হোসেন বলেন, মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি হলেও বেচাকেনা হচ্ছে কম। বেচাকেনা বাড়াতে ছাড় দিতে হচ্ছে। তার পরও আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছে না।

তুর্কি প্যাভিলিয়নের নাইম ইসলাম বলেন, মেলায় আগতরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেশি কিনছেন। বিলাসবহুল বা কম প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন কম। এজন্য কয়েকদিন সময় বাড়ানো প্রয়োজন।

মেলায় প্যাভেলিয়ন, প্রিমিয়ার প্যাভেলিয়ন, মিনি প্যাভেলিয়ন, সাধারণ স্টলে বিভিন্ন সৌন্দর্যবর্ধক সামগ্রী, ইলেকট্রনিকস পণ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা, খেলার সামগ্রী, খেলনা, স্টেশনারি, জুয়েলারি, সিরামিকস পণ্য, মেলামাইন পণ্য, দেশি বস্ত্র, আসবাবপত্র, হস্তশিল্প পণ্যসহ নানা ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলা শেষের দিকে জমজমাট হচ্ছে। বিক্রিও প্রায় প্রতিদিনই বাড়তে শুরু করেছে। তবে স্টল মালিকরা অনেকেই সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়। আগে বাণিজ্য মেলা শেরেবাংলা নগরের চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার প্রাঙ্গণ মেলার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। পূর্বাচলে তুলনামূলকভাবে জনসমাগম কম হচ্ছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মেলার প্রবেশদ্বার ইজারাদার অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন রাজিব বলেন, আগের তুলনায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম।###


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category