ডেস্ক নিউজঃ
বিএনপি বাজেট না পড়েই বিবৃতি দিয়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি ঠিকমতো বাজেট পড়েওনি। আগের দিনই বাজেট প্রতিক্রিয়ার বিবৃতি লিখে রাখে তারা। রোববার (১২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কিছু চিহ্নিত ব্যক্তিবিশেষ ও সংগঠন প্রশংসা না করলেও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাতিসংঘ প্রশংসা করে। আমাদের এই ব্যক্তিবিশেষরা প্রশংসা করতে পারে না। এটা তাদের চিন্তার দৈন্যতা।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার টানা ১৪তম বাজেট পেশ করেছে। এর আগে ১৩টি বাজেট পেশ করেছে। যখনই বাজেট পেশ করা হয় তখনই বিএনপি, কিছু চেনা মুখ, কিছু চেনা সংগঠন, অর্থনীতিবিদ বলে যারা নিজেদের পরিচয় দেন, তারা সবসময় বাজেট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই গত সাড়ে ১৩ বছরে বাংলাদেশের বাজেটের আকার ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যে বাজেট পেয়েছিলাম সেটি ৮০ হাজার কোটি টাকার কম ছিল। বর্তমানে সে বাজেট গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৩ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছ আয় প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অতিদারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি হচ্ছে বাস্তবতা। তাদের এই নেতিবাচক কথাবার্তা প্রতিবার বাজেটের পর করে আসছে। একবারও দেখলাম না তারা প্রশংসা করেছে। খুব যৎসামান্য যেটা না করলেই নয় সেটা কেউ কেউ করেছেন। কিন্তু চিহ্নিত কিছু ব্যক্তিবিশেষ, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং বিএনপি ও তার মিত্ররা কখনো বাজেটের প্রশংসা করেনি। তাহলে সাড়ে ১৩ বছরে দেশ এগিয়ে গেলো কেমনে?
মূল্যস্ফীতি নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপের অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আমেরিকাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, তুরস্কতে ২০ শতাংশের বেশি। এটা জানার জন্য খুব বেশিদূর যেতে হয় না। গুগুলে সার্চ দিলেই সব তথ্য পাওয়া যায়। তাদের এত বড় বড় ডিগ্রিধারী, অর্থনীতিবিদ, বড় বড় নেতা তারা তো গুগুলে গিয়ে সার্চ করলেই পারে কোন দেশের মূল্যস্ফীতি কত। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি সেসব দেশের তুলনায় কম। সেটা তো সহজেই দেখা যায়। এরপরও মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য সবসময় তারা বক্তব্য দিয়ে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, এই বাজেট হচ্ছে গরিববন্ধব বাজেট। ৯০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, সেটা কার জন্য? বড় লোকের জন্য না, সেটা গরিবের জন্য। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে গরিব মানুষের জন্য। সেগুলো না বলে গৎবাঁধা কথা, মুখস্ত কথা…।
‘গত ১০ বছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সিপিডি একটিবারও বাজেটের প্রশংসা করতে পারেনি। আর বিএনপি তো আগেই বিবৃতি লিখে রাখে কী বলবে। বিশেষ করে তারা আগের দিনই বিবৃতি লিখে রাখে। বাজেট তো তারা ঠিকমতো পড়েওনি। না পড়েই বিবৃতি দিয়ে দেয়। আমাদের সরকার মানুষের জন্য বাজেট করে। সে কারণেই দেশটা এগিয়ে গেছে, দারিদ্র্য কমেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।’