সোহাঈদ খান জিয়া,চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদগন্জ উপজেলার ২ নং বালিথুবা ইউনিয়নে বিএনপির ডোনার শাহ আলম তপদার জোরপূর্বক চালু করেছে অবৈধ ইটের ভাটা। পরিবেশ ছাড়পত্র, জেলা প্রসাশকের লাইসেন্স সহ সকল সরকারি অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে মূল অংশীদারদের বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে নাম দারী কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রভাবখাটিয়ে এ ইটের ভাটা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, পূর্বে এই ইটের ভাটা নাম ছিল, মেসার্স হাজি আবদুল অদুদ এন্ড শফিউল্লাহ মিয়া ব্রিক কোং F&F, নয়জন অংশীদার মিলে ভাটাটি চালিয়ে আসছিল। এলাকাবাসীর আন্দোলনের ফলে এবং অংশীদারদের মধ্যে বনিবনার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়।
পূর্বের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ষোল ভাগের এক ভাগ ৭ নং অংশীদার বর্তমানে মেসার্স মা রহমত ব্রিকস ( MRB) প্রোঃ শাহআলম তপদার নামে পরিচালনা করে আসছে।
ইটের ভাটা সংলগ্ন তিন পাশ্বেই এল,জি,ই,ডির রাস্তা আছে। এক কিঃমিঃ মধ্যে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি উচ্চ বিদ্যালয়,একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, একটি জনতা ব্যাংক,একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এবং ইউনিয়ন পরিষদ আছে। এতো গুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সেবা প্রতিষ্ঠানে হাজারো ছাত্র ছাত্রী, সেবা গ্রহিতাগন যাতায়াত করতে হয়।,তাদের প্রতিনিয়ত ইভটিজিং সহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। চারপাশে কৃষি জমি।বসত বাড়ি। অবৈধ টেক্টর দিয়ে মাটি,বালু, ইট কেরিং।ভাটার কালো ধোঁয়া, ধুলো বালির কারনে পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে। শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের মাঝে শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে। সরকারের মিশন ভেস্তে যেতে বসেছে।আমি ১নংঅংশীদার মুহাম্মদ ওমর ফারুক। আমার স্ত্রী ৯নং অংশীদার নাজমুন আক্তার। আমরাই উক্ত প্রতিষ্ঠানের তিন ভাগের এক ভাগের মালিক।আমরা ৩৯ শতাংশ জমির মাটির টাকা,জমি ভাড়া।শেয়ারের টাকা পাবো।আমাদের সাথে কোনো রকম সমন্বয় না করে ফিল্ড চালু করেছে।আমাদের আগের নাম্বার চিমনিতে রয়েছে।আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার দাবী করছি।আমাদের সাথে সমাধান না করে তিনি ফিল্ডের নাম,মার্কা, মালিকানা পরিবর্তন করতে আইন অনুযায়ী পারেন না।
এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর, শিক্ষা মন্ত্রী, বনও পরিবেশ মন্ত্রী,চাঁদপুরের জেলা প্রসাশক,ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশু দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেন সচেতন মহল।