নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘অশনি’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্নিঝড় আকারে ভারতের অন্ধ্য প্রদেশর উপকূল ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসার এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে কলাপাড়ার উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। উত্তাল রয়েছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। মংগলবার বিকাল থেকে বৃষ্টির প্রবনতা কিছুটা কম থাকলেও বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে ফের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বেড়েছে বাতাসের চাপ। উপকূলীয় এলাকার আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এটি আজ সকাল ৬ টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দক্ষিনপশ্চিমে অবস্থান করছিলো। তবে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় এটি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিনত হতে পারে।
ঘূর্নিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আজও পায়রা, চট্রগ্রাম, মোংলা ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে দুই নম্বর হুশিয়ারী সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছ ধরা ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমেধ্য অধিকাংশ ট্রলার মৎস্য বন্দর মহিপুর আলীপুরের পোতাশ্রয় শিববাড়িয়া নদীতে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে টানা বর্ষনে উপকূলের অধিকাংশ নিচু এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ মুগডাল ও বোরো ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে আছে। বৃষ্টির ধারা চলমান থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ঘূর্নিঝড় অশনি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিনত হতে পারে। এটি ভারতের অন্ধ্য উপকূল অতিক্রম করা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।