মো: ফেরদৌস জোর্য়াদ্দার,ঝিনাইদহ :
ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নিজের পিতা দুই বছর ধরে কিশোরী মেয়ে (১৩) কে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের এক সাবেক নার্স দিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার পবহাটী গ্রামে। এ ঘটনায় লম্পট পিতা রাশেদকে জুতার মালা গলায় দিয়ে রোববার বিকালে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। পেশায় দর্জি লম্পট রাশেদ পবহাটী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক জানান, রাশেদ শহরের উপ-শহরপাড়ায় বিয়ে করে। তার একাধিক স্ত্রী রয়েছে। কিশোরী মেয়েটি ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহর পাড়ার রাকিব উদ্দীন হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী। মেয়েটির ভাষ্যমতে, পঞ্চম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় তার পিতা তাকে যৌন নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ঘুমের ওষুধ সেবন করিয়ে নিজের কিশোরী মেয়েকে মাসের পর মাস পাশবিক নির্যাতন করে আসছিল রাশেদ। এক পর্যায়ে মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের এক সাবেক নার্স দিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে রোববার বিকালে পবহাটী ও উপশহরপাড়ার বাসিন্দরা ক্ষোভে ফুসে ওঠে। তারা রাশেদকে ধরে গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লম্পট রাশেদ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।