মো: ফেরদৌস জোর্য়াদ্দারঃ
ঝিনাইদহের ১৫নং গোপালপুর মৌজার বাসিন্দা মো: আবু বক্কর দীর্ঘদিন ধরে এ গ্রামে বসবাস করে আসছেন। তার পৈতৃক জমিতে হঠাৎ করেই দখলদারির থাবা। এমতাবস্থায় আবু বক্কর ৭৫ বছর বয়সে অসুস্থ অবস্থায় অহসায় ও দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। জমির দখল ছাড়াতে বিভিন্ন মানুষের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছেন কিন্তু কোন লাভ আসে নাই।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী আবু বক্কর বলেন, আমি একজন অসহায় হতদরিদ্র কৃষক, বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে আছি আগের মতো বেশি একটা চলাফেরা করতে পারি না। আমার মৌজা-১৫নং গোপালপুর, দাগ নং- ৮৪৪ জমির পরিমাণ – ২৫ শতাংশের মধ্যে ১২.৫০ শতাংশ জমি পাশের গ্রাম মামুনশিয়ার মৃত- মনজেল মোল্লার ওয়ারিশগন ইলাহী বক্স, মো: খেলাফত আলী, মো: ইদ্রিসগং আমার উক্ত জমি জোর পূর্বক দখল করে হেনস্থা সহ হুকমি ধামকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ক্যাম্প ইনচার্জ অফিসারের শরণাপন্ন হলে দুপক্ষের জমির কাগজপএ নিয়ে বসার জন্য সময় নির্ধারণ করে কিন্তু বিবাদী পক্ষ উপস্থিত থাকেন না।
এরপর ভুক্তভোগী আবু বক্কার স্থানীয় চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ০২ নং মধুহাটি ইউনিয়ন এ শরণাপন্ন হয়ে দখলকৃত জমির ব্যপারে আলোচনা করেন এবং উক্ত জমির প্রমানপএ সহ উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে বসে সমাধানের একটি নির্দিষ্ট দিন ধার্য করেন কিন্তু দখলদার বিবাদীপক্ষ অনুপস্থিত থাকেন।
ভূক্তভোগী অসহায় আবু বক্কর বলেন ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেছে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে বসে আছি,আমার এ সমস্যা সমাধানে দখলদারের হাত থেকে বাঁচতে কার কাছে যাবো। জমির প্রমাণস্বরূপ সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে প্রমাণ না করতে পারলে মুচলেকা দিয়ে চলে যাব। এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সরকারের উদ্বর্তন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,উক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি অসহায় গরিব কৃষকের পাশে দাড়িয়ে তার দখলকৃত সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়ে দখলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।