মোঃ জামাল উদ্দিন,কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট)ঃ
সিলেট কোম্পানীগঞ্জে সম্প্রতি পরিবেশের দুহাই দিয়ে কিছু স্বার্থনেশি মহল তিলকে তাল বানিয়ে দীর্ঘ চার বছর যাবত লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের রুজি রুজগারের একমাত্র পথ পাথর উত্তলন বন্ধ করে রেখেছে এতে করে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ও ব্যবসায়ীবৃন্দ ,তাদের সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
এমতাবস্থায় কোয়ারিগুলো এইভাবে বন্ধ থাকলে অচিরেই এই এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে এই এলাকায় চুরি ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপকর্ম বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
যেহেতু এই এলাকার মানুষের জীবন ধারনের জন্য বিকল্প কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই,সুতরাং পাথর উত্তোলন কোয়ারিগুলো বন্ধ হলে মানুষ অনাহারে জর্জরিত হয়ে মানসিক চাপে অসুস্থতার দারপ্রান্তে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।
কারন এই পাথরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগনের মধ্যে অধিকাংশই বিভিন্ন ব্যাংক ,কোম্পানি ও এনজিও সংস্থা থেকে লোন নিয়ে তাদের ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন।
এমতা অবস্থায় তাদের দোকান মালিকের ভাড়া ব্যাংক লোন এবং কোম্পানিগুলোর চাপে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হয়েছেন এতে করে আইন শৃঙ্খলা অবনতি ও ঘটতেছে।
এদিকে গত ৩১ মে পাথর উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পাথর কোয়ারি, পাথর উত্তোলন, খাস কালেকশন আদায় ও জব্দ করা পাথর উন্মুক্ত নিলামের বিষয়ে দায়ের করা মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সভায় গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি সমূহ আবার ইজারা দেওয়ার যোগ্য কি না তা যাচাই করার লক্ষ্যে জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভে এবং সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমূহের ১০ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
তারা মজুদ পাথরের পরিমাণ, উত্তোলনযোগ্য পাথরের পরিমাণ, উত্তোলনের সময়কাল, পাথর কোয়ারি এলাকার পরিবেশ, পর্যটন শিল্পের বিকাশ বিবেচনা করে পাথর কোয়ারি সমূহের হালনাগাদ করবেন।
এ ছাড়াও খনি ও খনিজ সম্পদ আইন ১৯৯২ এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা ২০১২ পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সংশোধনের প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করতেও বলা হয়েছে এই কমিটিকে।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য দুই মাস পরও ওই কমিটির কোনো প্রস্তাবনা বা সংশোধনী প্রস্তাব এখনও প্রকাশ করতে পারেননি।
স্থানীয় অনুগত এক মুজিব সৈনিক- এডভোকেট শাহ্জাহান চৌধুরী
সাংগঠনিক সম্পাদক – কোম্পানীগন্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, সিলেট।সাবেক সভাপতি – কোম্পানীগন্জ উপজেলা ছাত্রলীগ।
যুগ্ম সম্পাদক – সিলেটস্থ কোম্পানীগন্জ সমিতি।
তিনি নবধারা২৪ডটকমক কে বলেন, বেকারত্বের কারণে বর্তমানে চুরি ডাকাতি খুন খারাপী বেড়ে গেছে,অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়ে আইন শৃংখলা চরম অবনতির পথে।
আইন গত ভাবে পাথর কোয়ারী খোলার অনুমতি পেলেও রাজনীতির ষড়যন্ত্রের কাছে গডফাদারদের ইশারায় বিনা কারণে পাথর কোয়ারী চার বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা আপনি ছাড়া আর কেউ গরীব দুঃখী মেহনতি দুর্বল অসহায় মানুষদের পক্ষে কথা বলবে না এবং বলার সাহস ও রাখে না।
দয়া করে কোম্পানিগঞ্জের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ব্যবসায়ীদের দিকে তাকিয়ে, ওদের পেটে দুমুটু ভাতের ব্যবস্থাও একমাত্র কর্মসংস্থানের পথ পাথর উত্তোলনের কোয়ারিগুলো খোলে দিন।