কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট)
সিলেট জেলা যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু জেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী না হয়ে জেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিবও মহানগর বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন।
সিলেট যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির শীর্ষ দু’নেতার বিদায়ে এবার যুবদলের নেতৃত্বে নতুনরা লড়াইয়ে নামছেন ঘোষণা দিয়ে। ইতিমধ্যে অনেকেই ফেইসবুক গণমাধ্যমে প্রচারণা ও শুরু করেছেন। ছুটেছেন ভোটারের কাছাকাছি সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের এবার কমিটি গঠন হবে সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে, সরাসরি ভোটের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হবেন তারাই দেবেন আগামীর নেতৃত্ব।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদল নেতারা অধিভুক্ত ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের ভোটার করেই জেলা ও মহানগরের কাউন্সিলর ও সম্মেলন করার তারিখ নির্ধারণও করে দিয়েছেন।সিলেট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু জানিয়েছেন আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর জেলা ও ১১ই সেপ্টেম্বর মহানগর যুবদলের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। উভয় কমিটির নতুন নেতৃত্ব ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন বলে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন ও তপসিল ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।
সেটি আগামী দু’একদিনের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে, তিনি আশা করেন,এবারের জেলা ও মহানগর সম্মেলন সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, আর এরই মধ্যদিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে।
সম্মেলন সফল করতে তিনি সবাইকে নিয়ে চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন,জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির বয়স প্রায় তিন বছর হতে চলেছে,যখন ১৯ বছরের জটিলতা কাটিয়ে তিন বছর আগে সিলেট যুবদলের এ দুটি ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়,তখন সিলেটে ক্ষোভ বিক্ষোভ ছিল।
ত্যাগী ও পরীক্ষিত অনেক নেতাকে বাদ দিয়ে নতুনদের দিয়ে জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল,ফলে পুরাতনরা ছিলেন অসন্তুষ্ট, এই অবস্থায় বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে কাউন্সিলে নতুনদের সঙ্গে পুরাতনরা লড়াইয়ে নামবেন কিনা- সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, কারণ যুবদলে এখন যারা প্রার্থী হচ্ছেন তারা অনেকেই পুরাতন নেতাদের কর্মী।
ফলে সিলেট যুবদল থেকে চিরতরে মুখ ফিরিয়ে নিতে যাচ্ছেন পুরনো নেতারা,এমনটি জানিয়েছেন সিলেট যুবদলের নেতারা,এবারের কাউন্সিলে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের তিনটি পদে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই তিন পদে প্রার্থী হতে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ জনের ও উপরে নেতা মাঠে নেমেছেন।
তবে এবার যারাই প্রার্থী হচ্ছেন তারা অনেকেই সিলেট ছাত্রদলের সাবেক নেতা,জেলা যুবদলের সভাপতি পদে এখন পর্যন্ত ৫ প্রার্থীর নাম শোনা গেছে।
এর মধ্যে রয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এডভোকেট সাঈদ আহমদ, জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, যুবদল নেতা আক্তার আহমদ, আশরাফ উদ্দিন ফরহাদ ও সাহেদ আহমদ চমন।
সভাপতি প্রার্থী হওয়া এডভোকেট সাঈদ আহমদ জানিয়েছেন, ‘আমরা ছাত্ররাজনীতি করে এসেছি, দলের প্রয়োজনে সব সময় কাজ করেছি,সিলেটে ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করেছি।
এবার যুবদলে কাজ করতে চাই,সিলেট যুবদলকে একটি সুসংগঠিত সংগঠন করাই হবে আমার প্রচেষ্টা,’ সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন জানিয়েছেন, তিনি দলের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে চলেন, কর্মীবান্ধব নেতা না হলে কর্মীরা আশ্রয় পায় না।
সুতরাং সিলেট জেলা যুবদলকে সুন্দর করে সাজাতে হলে এখনই কর্মীবান্ধব নেতার প্রয়োজন, এ কারণে তিনি প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, মাঠে নামছেন বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব, সাবেক ছাত্রদল নেতা মকসুদ আহমদ, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক ছাত্রদল নেতা লিটন আহমদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান নেছার ও ওলি চৌধুরী।
এ পদে লড়াইয়ে থাকা প্রার্থীরা ইতিমধ্যে ভার্চ্যুয়াল লড়াই শুরু করে দিয়েছেন, ছাত্রদল, যুবদলের নিজেদের অতীত ত্যাগ, বিষয়টি জানান দিতে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী প্রচার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
একই সঙ্গে তারা ছুটে চলেছেন কাউন্সিলরদের কাছাকাছি। প্রতিদিনই তারা জেলার বিভিন্ন ইউনিটে দৌড়ঝাঁপ করছেন। জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাসরুর রাসেল, এ আর বাবলু ও সাজ্জাদ হোসেন দুদু।
সিলেট জেলা যুবদলের অধিভুক্ত ইউনিট হচ্ছে ১৮টি। ১৩ উপজেলা ও ৫ পৌরসভা, প্রতিটি ইউনিটে ভোটার হচ্ছেন ৩১ জন করে। এতে মোট ভোটার হবেন ৫৫৮ জন,মহানগরের অধিভুক্ত ইউনিট হচ্ছে ২৭টি, প্রতিটি ইউনিটে ১১ জন করে ভোটার হতে পারবেন,এতে মোট ভোটার হবেন ২৯৭ জন।
তবে জেলা ও মহানগরের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা ভোটার হতে পারবেন কিনা, সেটি এখনো জানা যায়নি,এদিকে মহানগর সভাপতি পদে তিন প্রার্থীর নাম আলোচনায় এসেছে,এরা হলেন- বর্তমান সদস্য সচিব শাহ নেওয়াজ বক্ত তারেক, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল ও আনোয়ার হোসেন মানিক,এর মধ্যে তারেক ও বেলাল দু’জনই সিলেট বিএনপি’র পুরানলেন গ্রুপের নেতা।
সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রদল নেতা কয়েস আহমদ, এমদাদুল হক স্বপন, মীর্জা সম্রাট ও উমেদুর রহমান উমেদ প্রার্থী হতে যাচ্ছেন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক পদেও লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়াইয়ে রয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জুবের আহমদ সহ আরও কয়েকজন।
সিলেট জেলা যুবদলের সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন,শেষ মুহূর্তে জেলা ও মহানগর যুবদলের শীর্ষ পদে প্রার্থিতায় আসতে পারে চমকও গ্রুপ কিংবা উপগ্রুপের হিসাব নিকাশে হঠাৎ করে প্রার্থী হতে পারেন ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ।
সিলেট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন দুদু বলেন আমি তরুণদের সাথে নিয়ে প্রবীণ ও সিনিয়রদের দোয়া নিয়ে নতুন ধারায় জ্বলে উঠতে চাই, পাশাপাশি দেশবাসীর কাছে দোয়া আশীর্বাদ শুভ কামনা চেয়েছেন।