মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনিঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
বুধার (৩০ মার্চ) সকালে চাঁদপুর হাইমচরের চরভৈরবী বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের মাঝে নগদ অর্থ সহয়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৭০ জন ব্যবসায়ীদের মাঝে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। এবং বাজার সংলগ্ন মসজিদেও সহয়তা করেন।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, এক দশক আগেও বিদ্যুতের অভাবে দেশের অর্থনীতি ছিল পর্যুদস্ত, শিল্প-বাণিজ্য ছিল স্থবির এবং জনজীবনে লোডশেডিং ছিল অসহনীয়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যুৎ খাতে আজ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময় মানুষ যে অন্ধকার যুগে ছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশে তা থেকে বেরিয়ে শতভাগ আলোর পথে এসেছে। ঘোষণা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন।
মেঘনা ও পদ্মা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় হাইমচর জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং আগামীদিনেও পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চরভৈরবী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আহমদ আলী মাস্টার।
যুবলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন লিটনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আব্দুর রব ভুইয়া, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ ফারুকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাহেদ হোসেন দিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার, হাজী আব্দুল খালেক আখন, সাবেক ছাত্র নেতা ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ, শাহ আলম পাটওয়ারী, মানিক দেওয়ান, জাকির হোসেন সুলতান, ছাত্রনেতা সোহাগ, ইউনুছ আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ হাইমচরের চরভৈরবীতে আগুন লেগে প্রায় ৭০ টা দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।