মো:সৈকত জামান প্রিন্স,ফুলছড়ি-গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের বাদিয়াখালী টু তালুকজামিরা রোডের মাঝ পথে অবস্হিত শৌলতাড়ী ব্রীজ ।
ব্রীজটি ফছির গেট নামে স্থানীয়দের কাছে বেশ পরিচিত। কারণ ব্রীজটি নির্মাণের পর এই এলাকার ফছি নামে এক ব্যক্তি ব্রীজটির তত্ত্বাবধানের দ্বায়িত্ব পালন করেন। তার জন্য আলাদা একটি কক্ষ ছিল । কিন্তু সেই ফছি মারা যাওয়ার পর কক্ষটির ইট গুলো বিক্রি করা হয় ।
২০১৯ সালে প্রবল বন্যার পানির চাপে ব্রীজটির
পশ্চিম পাশের মাটি ডেবে যায় ।তারপর সেই ডেবে যাওয়া ব্রীজটি আর সংস্কার না করায় এরপর আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে ব্রীজটি ।
রাস্তাটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী টু গোবিন্দগন্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হওয়ায় সাইকেল, মটরসাইকেল, ভ্যান,অটোরিকশা, সিএনজি, মিনিট্রাক ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। যার কারনে প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।তাই যাতে ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করে চলাচলের উপযোগী করা হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও এই রাস্তায় চলাচলকারী ভুক্তভোগীরা ।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা যায়, ১৯৭৬ সালে ব্রীজটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড । তারপর চলে যায় প্রায় ৪৭ বছর
বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম বলেন , ব্রীজটি অনেক আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ । এবং ২০১৯ সালে বন্যার পানির চাপে ব্রীজটির পশ্চিম পাশের মাটি ডেবে যাওয়ায় আরও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে । তাই দ্রুত ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করা দরকার ।
এবিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো: বাবলু মিয়া বলেন, ব্রীজটি পরিদর্শন করেছি, এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।