মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনিঃ
চাঁদপুরের হাইমচরে আগুনের লেলিহান শিখায় শতশত লোকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই। চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ২টি বসত ঘর সহ বাজারের ৭০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভস্মিভূত হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীদের শান্তনা দেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানীয়া।
২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টায় চরভৈরবী বাজারের ইসলামিয়া হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর ও রায়পুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। চাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক শাহিন আলম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চরভৈরবী ইউনিয়নের নদীর পাড় মাছঘাট সংলগ্ন বাজারে আগুন লেগে প্রায় ৭০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান এতে তাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে বিনষ্ট হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দোকানে প্রচুর মাল তোলা হয়েছিল। আগুনে পুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পুজি হারিয়ে পথে বসেছে ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ী ফাহিমা আক্তার বিনা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তিল তিল করে জমানো একমাত্র সম্ভল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ব্যাংকের লোন সংসার কি করে চলবে। এটা ভাবতেই বুকটা ফেটে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার ভাই সৈয়দ আহমেদের কসমেচিক্স ও মোবাইলের দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। আমাদের ৩ দোকানে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। সরকার যদি আমাদেরকে সহযোগীতা না করে ছেলে সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানীয়া বলেন, ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের সময় হঠাৎ চরভৈরবী বাজারে আগুন লেগে বাজারের ৭০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে চাই হয়েছে। আমরা ধরনা করছি এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এসকল ব্যবসায়ীরা সব হারিয়ে পথে বসেছে। আমরা সরকারের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীদের জন্য সহযোগীতা কামনা করছি।